নতুন বছরে টাইগারদের যত খেলা

1,227

নিউজবিডিইউএস ডেস্কঃ

 

নতুন বছরে আবারো নতুন প্রত্যাশা আর চ্যালেঞ্জের সামনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ বছর বাংলদেশের প্রথম চার মাস কেটে যাবে ক্রিকেটের সবচেয়ে সীমিত আসর টি-টোয়েন্টি খেলেই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে বছর শুরু করবে টাইগাররা। এরপর এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে বছরের শুরুতেই আন্তর্জাতিক আসরের মুখোমুখি বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সীমিত পরিসরের এ আসরগুলোর জন্যে ২৭ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে। ক্রিকেটারদের নিয়ে দীর্ঘদিনের ক্যাম্প করবে বিসিবি। রোববার থেকেই প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ যেভাবে টেস্ট ও ওয়ানডেতে উন্নতি করেছে সেভাবে টি-টোয়েন্টিতে পারেনি। টি-টোয়েন্টি কম খেলা- এর প্রথম ও প্রধান কারণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ কম। সে জন্য প্রত্যাশার লাগাম টেনে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই। ধীরে ধীরে উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ সে প্রত্যাশায় ক্রিকেট প্রেমিদের। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশ এ যাবত পর্যন্ত ৪৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে যেখানে জয় ও পরাজয়ের অনুপাত ১৩:৩২। ফলাফল আসেনি একটি ম্যাচে। ওয়ানডেতে ভালো করায় টি-টোয়েন্টির প্রত্যাশা বেড়ে গেছে বহুগুণ। তবে বাস্তবতা মেনেই এগিয়ে যেতে হবে। লড়াকু বাংলাদেশ নতুন বছরের শুরু থেকেই লড়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা।

 

 

এক নজরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ২০১৬ সালের সিডিউল দেখে নেওয়া যাকঃ

 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজ
বছরের শুরুতেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে জিম্বাবুয়েকে। জানুয়ারি মাঝপথে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে। একটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা দুই দেশের। যদিও জিম্বাবুয়ে টেস্টের পরিবর্তে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলতে চাচ্ছে।

 

এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি
টানা তৃতীয়বারের মত এশিয়া কাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবারের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় ও ফতুল্লাতে এশিয়া কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাঁচ দলের এশিয়া কাপে সরাসরি খেলবে বাংলাদেশ।

 

আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
এশিয়া কাপের আমেজ কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশ মাঠে নেমে যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসর বসবে। প্রথম রাউন্ডের বাঁধা টপকে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড বা সুপার টেন খেলতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড ও ওমান। সুপার টেনে খেলতে পারলে বাংলাদেশ খেলবে ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

 

ভারত সফর
২০১৬ সালে প্রথমবারের মত ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর সেটাই হবে বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক ভারত সফর। আগস্টের শেষ দিকে ভারতে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি ইডেন গার্ডেনসে হওয়ার কথা রয়েছে। ২৫ বছর পর ইডেন গার্ডেনসে খেলবে বাংলাদেশ।

 

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ
অক্টোবরের ইংল্যান্ডকে আতিথীয়তা দেবে বাংলাদেশ। ২০০৩/০৪ ও ২০০৯/১০ সালের পর চতুর্থবারের মত বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এবারের সফরে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা রয়েছে দুই দলের। তবে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই।

 

নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ
বছরের শেষ প্রান্তে ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার সিডিউল রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা রয়েছে দুই দলের। তবে সফরটি শেষ হতে ২০১৭ সাল হয়ে যাবে। ২০০১/০২, ২০০৭/০৮, ২০০৯/১০ সালের পর চতুর্থবারের মত নিউজিল্যান্ড ভ্রমণ করবে বাংলাদেশ।

 

নোটঃ আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যান (এফটিপি) অনুযায়ী সিডিউল তৈরী করা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে এ সিডিউলে পরিবর্তন আসতে পারে।

 

নিউজবিডিইউএস/বান্না/জানুয়ারী ৪, ২০১৬

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.