নিউইয়র্কে গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি রাসেলের পা থেকে গুলি অপসারন 

233

অনলাইন ডেস্কঃ  নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সের এস্টোরিয়াতে একটি বাঙালি মালিকাধীন গ্রোসারি স্টোর থেকে টাকা লুটে নিয়ে পালাতে থাকা ডাকাতদরে ধরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন প্রবাসী এক বাংলাদেশি তরুণ।GDt4DVo3Znav
গত শনিবার রাতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এস্টোরিয়ার বনফুল সুপার মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশি তরণ মোহাম্মদ রাসেল আহমেদের (৩০) এই সাহসকিতার গল্প স্থানীয় টেলিভিশনগুলোর খবরেও এসেছে।
বনফুল এবং আশপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রত্যক্ষদর্শীতের সঙ্গে কথা বলে নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, তিন দুর্বৃত্ত পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই ডাকাতিতে অংশ নেয়। পুলিশের ‘ব্যাজ’ দেখিয়ে তারা বলে, দোকানে জাল টাকা আছে বলে তারা খবর পেয়েছে। এক পর্যায়ে তাদের একজন দোকানের ক্যাশ থেকে প্রায় দুই হাজার ডলার তুলে নেয়।
ওই দোকানের কর্মচারী আব্দুল কুদ্দুস পুলিশকে বলেছেন, ক্যাশ থেকে টাকা নেওয়ার সময় তিনি বুঝতে পারেন যে ওরা পুলিশ নয়, ডাকাত। কিন্তু তাদের হাতে পিস্তল দেখে তিনি ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। দোকান মালিক সোহেল আহমেদের ছোট বোনের জামাই রাসেল তখন ভেতরেই ছিলেন।
ডাকাতরা টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে রাসেল তাদের পিছু ধাওয়া করেন। এক পর্যায়ে এক ডাকাত পিস্তল থেকে গুলি ছুড়লে রাসেলের পায়ে লাগে। এরপর তিন ডাকাত একটি ভ্যানে চলে পালিয়ে যায়।
রাসেলকে ভর্তি করা হয়েছে কুইন্সের এলমহার্স্ট হাসপাতালে। তার পা থেকে গুলি অপসারণ করেছেন চিকিৎসকরা। বনফুল সুপার মার্কেটের মালিক সোহেল বলেন, “পুলিশ সিসিটিভি দেখে তদন্ত করছে। আশা করছি ডাকাতরা ধরা পড়বে।”
রাসেলের ভাবি শাহানা বেগম বলেন, “ও ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি যে ডাকাতরা ওকে মেরে ফেলার চেষ্টা করতে পারে।”
সিলেটের ছেলে রাসেল আগে থাকতেন কুইন্সের জ্যামাইকায়; কাজ করতেন ম্যানহাটানের এক রেস্তোরাঁয়। সাত মাসে আগে তিনি সস্ত্রীক নিয়ে জ্যামাইকা থেকে এস্টোরিয়ায় চলে আসেন।
এদিকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করলেও কিছু ভুয়া পোর্টাল ও বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকা রাসেলকে নিয়ে মৃত্যুর ভুয়া খবর ছাড়ায়।
নিউইয়র্ক বাংলাদেশি কমিউনিটি এক্টিভিস্ট জাবেদ উদ্দিন দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে তার খোঁজ খবর নেন এবং ভুয়া খবরের তীব্র নিন্দা জানান। রাসেল সকলের কাছে দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.