নিউজপোর্টাল চালালে নিবন্ধন লাগবে: তথ্যমন্ত্রী

473

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অনলাইন মিডিয়া পরিচালনার বিষয়ে খসড়া নীতিমালা প্রস্তুত এবং একটি কমিশন গঠন করা হচ্ছে। নীতিমালাটি চূড়ান্ত হলে সব অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে নিবন্ধিত হতে হবে।

Humaun Online

সোমবার সংসদের অধিবেশনে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির এমপি নাসরিন জাহান রত্না এবং আওয়ামী লীগের এমপি মোর্শেদ আলমের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী সংবাদপত্রের জন্য ঘোষিত নবম ওয়েজবোর্ড শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশে অনলাইন মিডিয়ার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ২০০৮ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। বর্তমানে ৮ কোটির বেশি। দেশে কয়েক হাজার অনলাইন সংবাদপত্র রয়েছে। আমরা অনলাইন নীতিমালা করছি। এই অনলাইন নীতিমালা মন্ত্রিসভায় পাস হওয়ার পর সব অনলাইন সংবাদপত্রকে নীতিমালার আওতায় এনে নিবন্ধিত করা হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে অনেক অনলাইন সংবাদপত্র সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়েছি, নিচ্ছি। সব অনলাইনকেই নীতিমালার আওতায় এসে নিবন্ধিত হতে হবে।’

সংবাদপত্রের নবম ওয়েজবোর্ড বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান মন্ত্রিসভার প্রথম সভাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। আমরা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে মতবিনিময় করছি। আশা করছি, শিগগিরই নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।’

গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত
ভোলা-৩ আসনের সরকার দলীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহের অধিকার সুরক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। ইতোমধ্যে সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের চেতনায় দেশে গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশর গণমাধ্যমের সকল শাখা ব্যাপকভাবে বিকাশ লাভ করেছে। সাংবাদিকদের পেশা এবং স্বাধীনভাবে তথ্য সংগ্রহ ও সরকারের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যম, অবাধ তথ্যপ্রবাহ এ সরকারের সাফল্যের অন্যতম মাইলফলক।’

তিনি সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজবোর্ড গঠন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সহায়তা, সাংবাদিকদের শিক্ষা ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষনের সুযোগ তৈরি, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ প্রণয়ন, গণমাধ্যমকর্মী (চাকরি ও শর্তাবলী) আইন ও সম্প্রচার আইন প্রণয়নের প্রক্রিযা, ৪৪টি বেসরকারি টেলিভিশন, ২৮টি এফএম রেডিও, ৩২টি কমিউনিটি রেডিও’র লাইসেন্স প্রদানের কথা উল্লেখ করেন।

এ ছাড়া দেশে বর্তমানে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১২৪৮টি, সাপ্তাহিক পত্রিকা ১১৯২টি, মাসিক পত্রিকা ৪১৪টি ও অন্যান্য ৪১টি, ২২১৭টি অনলাইন মিডিয়া, যার মধ্যে অনলাইন পত্রিকা ১৮৭৪টি, ইন্টারনেট টেলিভিশন ২৫৭টি, অনলাইন রেডিও ৪৫টি ও ই-পেপার ৪১টি রয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমবান্ধব এ সরকার মিডিয়া সেক্টরে আরও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানে বদ্ধপরিকর।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.