এবাদত উদ্দিন, নিউ ইয়র্ক: নিউ ইয়র্কে তুমুল হট্টগোল আর হাতাহাতির মধ্য দিয়ে পন্ড হয়েছে চট্টগ্রাম সমিতির সংবাদ সম্মেলন। গত রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সমিতির দু’গ্রুপের একাংশ সমিতির নানাবিধ সমস্যা নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন। এ অনুষ্ঠানে অপর গ্রুপ্রের উপস্থিতি ঘটলে এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানা যায়, সমিতির নানাবিধ সমস্যা নিয়ে সমিতির সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ এ সংবাদ সম্মেলনের আহবান করেন। অনুষ্ঠান শুরুর পর সেলিম তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে গেলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া গ্রুপের লোকজন সেখানে এসে সভাপতিকে না জানিয়ে কেন এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে এর কৈফিয়ত চান। এক পর্যায়ে তার সমর্থকরা একযোগে মঞ্চে উঠার চেষ্টা করলে তুমুল-বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনের ব্যানারটি খুলে নেন জিয়ার সমর্থকরা।
সম্পাদক সেলিমের সমর্থকরা চুপ করে বসে থাকতে পারেনি তারাও ধাক্কাধাক্কি আর গালাগালিতে লিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষকে প্রতিহতের চেষ্টা করেন। মুহুর্তেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা জ্যাকসন হাইটসে। বাহির থেকে লোকজন ছুটে আসেন পালকি পার্টি সেন্টার। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
চট্টগ্রাম সমিতির সিদ্ধান্ত ছাড়াই সম্পাদক মো. সেলিম ও কোষাধ্যক্ষ মীর কাদের রাসেল যোগসাজস করে ব্যাংক একাউন্ট থেকে প্রায় ৪৫ হাজার তুলেছেন। অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই তারা এ অর্থ সরিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া। ‘চট্টগ্রাম সমিতির ব্যানার ব্যাবহারের কোন সুযোগ নেই বলেই এ অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করেন জিয়া।
চট্টগ্রাম সমিতির ভবিষ্যত মর্যাদা ক্ষুন্ন হবার ভয়ে এতদিন সংবাদকর্মিদেরকে কিছু বলেননি বলে জানান সম্পাদক মো. সেলিম। আজ সেই সুযোগ এসেছিল সমিতির ভেতরে অপতৎপরতায় লিপ্তদের মুখোশ উন্মোচনের। কিন্তু তা সম্ভব হলো না সন্ত্রাসী আচরণের কারণে।
নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনে বাংলাদেশি অধ্যুষিত চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে ৪ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন রয়েছে প্রবাসের এ অন্যতম বৃহত্তম চট্টগ্রাম সমিতির। এই ভবনের এপার্টমেন্ট থেকে মাসিক ভাড়া আদায় হয় ৭ হাজার ডলারের অধিক। এই অর্থই হয়েছে সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যেকার হিংসা-বিদ্বেষের অন্যতম কারণ বলে অনেকেই মনে করছেন।
সাবেক সভাপতি কাজী আজমের মদদেই বর্তমান সম্পাদক মো. সেলিম এবং কোষাধ্যক্ষসহ কয়েকজন ভুয়া ভাউচারে সমিতির অর্থ আত্মসাতের অভিপ্রায়ে ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৪৪ হাজার ৬২২ ডলার সরিয়েছেন। এর কয়েক বছর আগে কাজী আজম দায়িত্ব পালনকালীন সময়েও বিপুল অর্থ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। সেই হিসাব এখনও সদস্যরা পাননি বলে উল্লেখ করেছেন সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ। অভিযোগ অস্বীকার করে কাজী আজম পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘মোহাম্মদ হানিফের কারণেই চট্টগ্রাম সমিতি আজ খন্ড-বিখন্ড হয়ে পড়ার পথে। এ থেকে উদ্ধারের জন্যে দরকার দক্ষ নেতৃত্ব। আমিও চাই সমিতির আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব উল্লেখ করেন কাজী আজম।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সমিতির ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া অভিযোগ করেছেন যে, কাজী আজমের মদদেই সমিতির অর্থ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে শীঘ্রই আদালতে যাবো।
গত বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হয় সমিতির নির্বাচন। সেই নির্বাচনে দুটি প্যানেল মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ‘জাহাঙ্গির-বিল্লাহ প্যানেল’ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ায়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের অভিযোগ করেন ‘জাহাঙ্গির-বিল্লাহ প্যানেল’র কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় ‘‘জিয়া-সেলিম প্যানেল’কে একতরফা বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সেই ‘জিয়া-সেলিম প্যানেল’র মধ্যেও এখন বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
সম্পাদক সেলিমের সমর্থকরা চুপ করে বসে থাকতে পারেনি তারাও ধাক্কাধাক্কি আর গালাগালিতে লিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষকে প্রতিহতের চেষ্টা করেন। মুহুর্তেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা জ্যাকসন হাইটসে। বাহির থেকে লোকজন ছুটে আসেন পালকি পার্টি সেন্টার। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশের উপস্থিতি দেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
চট্টগ্রাম সমিতির সিদ্ধান্ত ছাড়াই সম্পাদক মো. সেলিম ও কোষাধ্যক্ষ মীর কাদের রাসেল যোগসাজস করে ব্যাংক একাউন্ট থেকে প্রায় ৪৫ হাজার তুলেছেন। অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই তারা এ অর্থ সরিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া। ‘চট্টগ্রাম সমিতির ব্যানার ব্যাবহারের কোন সুযোগ নেই বলেই এ অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করেন জিয়া।
চট্টগ্রাম সমিতির ভবিষ্যত মর্যাদা ক্ষুন্ন হবার ভয়ে এতদিন সংবাদকর্মিদেরকে কিছু বলেননি বলে জানান সম্পাদক মো. সেলিম। আজ সেই সুযোগ এসেছিল সমিতির ভেতরে অপতৎপরতায় লিপ্তদের মুখোশ উন্মোচনের। কিন্তু তা সম্ভব হলো না সন্ত্রাসী আচরণের কারণে।
নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনে বাংলাদেশি অধ্যুষিত চার্চ-ম্যাকডোনাল্ডে ৪ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন রয়েছে প্রবাসের এ অন্যতম বৃহত্তম চট্টগ্রাম সমিতির। এই ভবনের এপার্টমেন্ট থেকে মাসিক ভাড়া আদায় হয় ৭ হাজার ডলারের অধিক। এই অর্থই হয়েছে সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যেকার হিংসা-বিদ্বেষের অন্যতম কারণ বলে অনেকেই মনে করছেন।
সাবেক সভাপতি কাজী আজমের মদদেই বর্তমান সম্পাদক মো. সেলিম এবং কোষাধ্যক্ষসহ কয়েকজন ভুয়া ভাউচারে সমিতির অর্থ আত্মসাতের অভিপ্রায়ে ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৪৪ হাজার ৬২২ ডলার সরিয়েছেন। এর কয়েক বছর আগে কাজী আজম দায়িত্ব পালনকালীন সময়েও বিপুল অর্থ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। সেই হিসাব এখনও সদস্যরা পাননি বলে উল্লেখ করেছেন সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ। অভিযোগ অস্বীকার করে কাজী আজম পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘মোহাম্মদ হানিফের কারণেই চট্টগ্রাম সমিতি আজ খন্ড-বিখন্ড হয়ে পড়ার পথে। এ থেকে উদ্ধারের জন্যে দরকার দক্ষ নেতৃত্ব। আমিও চাই সমিতির আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব উল্লেখ করেন কাজী আজম।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সমিতির ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে সভাপতি আব্দুল হাই জিয়া অভিযোগ করেছেন যে, কাজী আজমের মদদেই সমিতির অর্থ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে শীঘ্রই আদালতে যাবো।
গত বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হয় সমিতির নির্বাচন। সেই নির্বাচনে দুটি প্যানেল মনোনয়নপত্র জমা দিলেও ‘জাহাঙ্গির-বিল্লাহ প্যানেল’ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ায়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের অভিযোগ করেন ‘জাহাঙ্গির-বিল্লাহ প্যানেল’র কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় ‘‘জিয়া-সেলিম প্যানেল’কে একতরফা বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সেই ‘জিয়া-সেলিম প্যানেল’র মধ্যেও এখন বিভক্তি দেখা দিয়েছে।