নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতেই সহিংসতায় নিহত ১

437

বাংলাদেশে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী সহিংসতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার নোয়াখালিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।

বিএনপি অভিযোগ করছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের দলের প্রার্থী এবং সমর্থকদের ওপর সরকারী দলের সমর্থকরা হামলা চালাচ্ছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরও এই হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। তবে আওয়ামী লীগ এসব হামলার ঘটনাকে বিএনপির ‘অন্তর্দলীয় কোন্দল’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

371856_188

নোয়াখালিতে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে যিনি নিহত হয়েছেন তাকে যুবলীগের কর্মী বলে দাবি করা হচ্ছে। বিএনপি দাবি করেছিল, সেখানে তাদের দলীয় প্রার্থী মওদুদ আহমেদের নির্বাচনী মিছিলে হামলা করা হয়েছে।

তবে পুলিশ এই ঘটনাকে ‘হামলা’র পরিবর্তে বিএনপি ও মহাজোট প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বলে বর্ণনা করছে।

জেলার পুলিশ সুপার মোঃ ইলিয়াস শরীফ বিবিসিকে জানান, সেখানে মোহাম্মদ হানিফ নামে একজন যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ঘটনার সময় সেখানে দু’পক্ষই শক্তি প্রদর্শন করেছে।

নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ করেছে বিএনপি। তিনি সেখানে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে যখন বেগুনবাড়ি এলাকায় যান, তখন এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

টেলিফোনে তিনি জানান, “যাওয়ার পথে শুনলাম যে রাস্তার পাশেই একটা ইউনিয়ন আছে সেখানে একটা সেন্টারে আমাদের দলের লোকজনদের উপরে আওয়ামী লীগ চড়াও হয়েছে রামদা লাঠিসোটা নিয়ে।”

“আমি ভাবলাম আমার সেখানে যাওয়া উচিৎ। অন্তত আমার ছেলে-পেলেদের আমার নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ। কারণ সংঘর্ষ হলে তো খারাপ হয়। এরপর আমি এসপি ও ডেপুটি কমিশনারকে জানালাম। তারপর আমি সেখানে গেছি। যাওয়ার পরে আমার গাড়ি পার হওয়ার পরে পেছন থেকে তারা যে কয়েকটা গাড়ি ছিল, সেগুলো রড লাঠি দিয়ে তারা আক্রমণ করে ভেঙেছে।”

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,”ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচারণা চালাতে আসবো, ঠিক এই সময়ে কালকে রাতে আমার এখানকার দুজন অত্যন্ত সিনিয়র কর্মীকে আক্রমণ করা হয়েছে। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোন কারণ ছাড়া।”

তিনি বলছেন, “নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে, পুলিশকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে। সরকার প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যাবহার করছে যাতে করে বিএনপি নির্বাচনের মাঠে না থাকে।”

বিএনপির দলীয় কোন্দল?

তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ দাবি করছেন এসব সংঘর্ষের পেছনে রয়েছে বিএনপি আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব।

তিনি বলছেন, “মনোনয়ন বাণিজ্যের কারণে বিএনপির অনেক ত্যাগী নেতা বাদ পড়ায় এবং ঐসব জায়গায় একবারেই রাজনীতি না করা ব্যবসায়ীদের মনোনয়ন দেয়ার কারণে সামগ্রিকভাবে বিএনপির মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখেছি। যে ক্ষোভের কারণে বিএনপির নয়াপল্টন অফিস, গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার অফিসেও হামলা ভাঙচুর হয়েছে। আভ্যন্তরীণ কোন্দলে তাদের যদি কেউ এরকম হামলার শিকার হয় সেই দায়ভার দেয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগের উপর।”

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.