‘নির্বাচন নিয়ে সংলাপের দাবি হাস্যকর, মামা বাড়ির আবদার’

364

নির্বাচন নিয়ে সংলাপের দাবি একেবারেই হাস্যকর। যেখানে ভোট নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, বিতর্ক নেই, যেখানে গণতান্ত্রিক বিশ্ব উল্টো সমর্থন দিয়েছে, সেখানে এ ধরনের সংলাপের কোনো যৌক্তিকতা কিংবা বাস্তবতা কিংবা প্রয়োজনীয়তা এ মুহূর্তে নেই।

Kader news

শনিবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের এক বক্তব্য খণ্ডন করে এমন মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে গত ১০ জানুয়ারি এক আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আসুন জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সংবিধান অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকার গঠন করি’।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সরকারের ‘রাজ চালাকি’ হিসেবেও উল্লেখ করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

গণফোরাম নেতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সংলাপের দাবি একেবারেই হাস্যকর। আমি বলব মামা বাড়ির আবদার, এছাড়া আর কিছু নয়’।

বাম রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারই প্রথম সরকার গঠনের আগে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সমর্থন এবং শুভেচ্ছা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পেয়ে গেছেন। উন্নত দেশগুলো সরকার গঠনের আগেই কিন্তু অভিনন্দন জানিয়েছে। কাজেই এ ধরনের দাবি অবান্তর, কোনো যৌক্তিকতা নেই।

নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে কোনো প্রকার বিতর্ক নেই। আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে কোনো প্রশ্ন আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। কাজেই নির্বাচন নিয়ে যারা আজকে অভিযোগ তোলেন তারা হেরে যাওয়ার বেদনা থেকেই এসব অভিযোগ তুলছেন এবং তাদের এই অভিযোগ ধোপে টেকে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, চারদিকে আপনারা জনগণের মতামত নিতে পারেন, জনগণ এই নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। জনগণের কোনো প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন আছে শুধু বিরোধী মনের কিছু রাজনৈতিক দলের। তাদের কাছে প্রশ্ন থাকবেই। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে হলে গরম কথা বলতে হবে।

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল প্রসঙ্গ:

আওয়ামী লীগের কাউন্সিল আগামী অক্টোবরে হবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

দলের সম্মেলনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাউন্সিল অক্টোবর মাসেই হবে।

বিআরটিএর অভিযান প্রসঙ্গ:

বিআরটিএর অভিযান প্রসঙ্গে কাদের বলেন, মাঝখানে নির্বাচন থাকায় বিআরটিএর অভিযান স্থগিত ছিল। যে কারণে অনিয়ম বেড়ে গেছে। আজকে ২ ঘণ্টার মধ্যেই ৯৮ হাজার টাকা জরিমানা ৮টি গাড়ির জব্দ এবং তিনজনের জেল ও ৪২টি মামলা করা হয়েছে। এই অভিযান নিয়মিত চলবে। বিআরটিএকে এই অভিযান আরো জোরদার করতে বলা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বেড়েছে, ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট যুক্ত হয়েছে। যার কারণে আমরা লাইসেন্সবিহীন গাড়ি, ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আগের চেয়ে আরও বেশি সক্রিয় হয়েছি।

‘অভিযানে কিছুই যে ইমপ্রুভমেন্ট হচ্ছে না তা কিন্তু না’ উল্লেখ করে কাদের বলেন,  এক রাতে তো আর পরিবর্তন হবে না। সামগ্রিকভাবে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন জরুরি।

আমাদের পাবলিক রাস্তায় বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো মাঝেমধ্যে বেপরোয়া হয়ে যায়। রাস্তায় চলাচলের সময় এপার থেকে ওপারে যায় এবং এক্সিডেন্ট করে। শুধু যে চালকের জন্য এক্সিডেন্ট হয় তা নয়, যাত্রীর জন্য এক্সিডেন্ট হয়, পথচারীর জন্য এক্সিডেন্ট হয়। কাজে এসব বিষয় সাংবাদিকদেরও ক্যাম্পেইনে আনা উচিত।

তিনি বলেন, সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে, তা না হলে আমরা রাস্তায় অনিয়ম বিশৃঙ্খলা দূর করতে পারবো না। এই সচেতনতা গড়ে তুলতে আমি সবার সহযোগিতা চাই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.