‘নির্বাচন বানচালে জামাত শিবির ও আইএসআই নাশকতা করবে’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করতে জামাত শিবির ও পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই নাশকতার কেন্দ্র হিসেবে নারায়ণগঞ্জকে বেছে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামীলীগ প্রার্থী এমপি শামীম ওসমান।
লন্ডন প্রবাসী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নের্তৃত্বে এসব নাশকতার ছক করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি আশংকা করছেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তার নির্বাচনী এলাকায় বড় কোনো নাশকতা ঘটতে পারে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের রাইফেল ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শামীম ওসমান গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এসব আশংকার কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনকে বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নাশকতার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জকেও তারা বেছে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২১ আগস্ট হামলার মূলনায়ক তারেক রহমানের সরাসরি নের্তৃত্বে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানের আইএসআই এর নেটওয়ার্ক দেশে নির্বাচন বানচালের একটি প্রক্রিয়া ঘটাবে।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন তারই একটি অংশ বলে মনে করেন শামীম ওসমান।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পাকিস্তানের নাগরিক নারায়ণগঞ্জের বিভিন্নস্থানে আনাগোনা করেছেন।
এসব দেশি বিদেশি অপশক্তিদের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মনির হোসেন কাসেমীর গোপন বৈঠক হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এজন্য কাসেমী গণসংযোগ কম করছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, নারায়ণগঞ্জের রাস্তায় নেম প্লেট বিহীন দামি দামি গাড়ি দেখা যাচ্ছে। ওইসব গাড়িতে নির্বাচন বানচালের নাশকতার ছক আঁকা হচ্ছে।
শামীম ওসমান আরও বলেন, আমি অবাক হচ্ছি যে, নারায়ণগঞ্জে কারও প্রচারণায় আমাদের পক্ষ থেকে কোনোরুপ বাধা দেয়া হচ্ছে না।
তবু অন্যসব প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা হচ্ছে।
এসবই ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীর সাজানো নাটক বলে অভিযোগ করেন শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে বিএসপির দোসর হিসেবে কাজ করছে জামাত শিবির, জঙ্গি ও যুদ্ধাপরাধীদের আইএসআই এর একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সকল সহিংসতাকে ঠেকাতে স্বাধীনতার পক্ষের সবশক্তিকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতেই তার আসনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী হিসেবে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।