নেতাকর্মীদের সামান্য খরচের টাকাও দিচ্ছেন না প্রার্থীরা : ছাত্রলীগ
‘দুই-চারজন প্রার্থী ছাড়া অধিকাংশই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর জন্য সামান্য খরচের টাকাও দিচ্ছেন না।’ বলে হতাশা ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এ হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি লিখেছেন, মিনিমাম খরচের টাকার জন্য প্রতিদিনই ফোন, এসএমএস, ইনবক্সে নক পাচ্ছি। কী রিপ্লাই দেব? কী বলবো ওদের? ছাত্রলীগের জন্য এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় বা ব্যক্তিগত কোনো ফান্ড থেকেই কোনো অর্থ বরাদ্দ করা হয় নাই!
ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘দেশব্যাপী নির্বাচনী মাঠ জমিয়ে রেখেছে ছাত্রলীগ। প্রার্থীর পক্ষে মিটিংয়ে মাঠ ভরতে, মিছিলটা বড় করতে, স্লোগানে-স্লোগানে জমিয়ে রাখতে, শতশত বাইকের শোডাউন দিতে, ভোটারের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে এবং এসবের ফাঁকে প্রার্থী বা আশপাশের বড় নেতাদের ব্যক্তিগত প্রটোকল, সবকিছুতেই আগে ডাক পড়ে ছাত্রলীগের।
মূলত, প্রতিটি আসনে ছাত্রলীগই নির্বাচনী পরিবেশ সরগরম রাখছে, এ নিয়ে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়। ১৬ জন বিভাগীয় সমন্বয়ক, ৩০০ আসনের সমন্বয়ক, সঙ্গে প্রতি আসনে গড়ে ৭ থেকে ৮ জন করে সদস্য অর্থাৎ সারাদেশে কেন্দ্র থেকেই ছাত্রলীগের প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী গত ১০ দিন যাবত অক্লান্ত শ্রম দিচ্ছে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং মহাজোট প্রার্থীদের পক্ষে।
প্রতি আসনে ১০ জন নেতাকর্মীর ১০ দিনের থাকা-খাওয়া বা হাতখরচ বাদ দিলাম, কেবল ঢাকা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাবার গাড়ি ভাড়া ও লোকাল যাতায়াত ভাড়াটা দিতে গেলেও কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা দেয়া উচিত ছিল, যার জন্য প্রয়োজন ছিল ১০,০০০×৩০০ = ৩০ লাখ টাকা।
দু’চারজন প্রার্থী ছাড়া অধিকাংশই ছাত্রলীগের জন্য সামান্য খরচের টাকাও দিচ্ছেন না। মিনিমাম খরচের টাকার জন্য প্রতিদিনই ফোন, এসএমএস, ইনবক্সে নক পাচ্ছি। কী রিপ্লাই দেব? কী বলব ওদের? ছাত্রলীগের জন্য এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় বা ব্যক্তিগত কোনো ফান্ড থেকেই কোনো অর্থ বরাদ্দ করা হয় নাই!
যে কয়েকজনকে যৎসামান্য কিছু দিয়েছি, সেটা বাপের ফান্ড থেকে। সবাইকে দিতে হলে তো বাপের জমিজমা বিক্রি করতে হবে! আমি দুঃখিত, সবার চাওয়া পূরণ করতে পারছি না বলে। যতটা সম্ভব চেষ্টা করব…
জানি, এই স্ট্যাটাসটি যথেষ্ট বিব্রতকর, কিন্তু এটাই সত্যি।
ছাত্রলীগ সত্যি এতিমের সংগঠন!।’