নেতার পল্টি: লাঙ্গল-ধানের শীষ-লাঙ্গল

172

গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুর রশীদ সরকার। গাইবান্ধা-২(সদর) আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি।

কিন্তু, সদস্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পাননি। আর তাতেই তিনি যে কাণ্ড করলেন তা হয়তো গাইবান্ধবাসী অনেকদিন মনে রাখবেন।

abdur-roshid

‘অভিমান’ করে জাতীয় পার্টিকে ‘বিদায়’ বলে যোগ দেন বিএনপিতে। যোগ দিয়ে ধানের শীষ মার্কায় মনোনয়নও পেয়ে যান। কিন্তু, এবার আর ২০১৪ সালের মতো ভোটে পাশ করতে পারেন নি। নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়ে ফের পল্টি দিলেন। ঘরের ছেলে ফিরলেন ঘরে।

নিজের পল্টি-কাহিনী সোমবার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বর্ণনা করেন জাপার এই নেতা।আব্দুর রশীদ সরকার দাবি করেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা তাকে স্বপদে বহাল থেকে পার্টির কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি এখনও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গাইবান্ধা-২(সদর) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে হতাশা ও অভিমানে ভুগছিলাম বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, বিএনপি আমাকে মনোনয়ন দিয়ে ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচনের মাঠে দাঁড় করিয়ে দেয়। এতে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতরা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

বিএনপির কর্মীরা এক পর্যায়ে নিজেদের দলীয় অফিসে আগুন দিয়ে অন্য একটি রাজনৈতিক দলের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে।

নির্বাচনে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কোনো সহযোগিতা আমি পাইনি। বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায়ও অংশ নেননি।

স্থানীয় বিএনপির নিজেদের মধ্যে দলাদলি, পরশ্রীকাতরতা, প্রতিহিংসাসহ নানা কারণে দলটি তাদের ইমেজ হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচনে আমি যে ৬৮ হাজার ৬৭০ ভোট পেয়েছি তা আমার ব্যক্তিগত ইমেজ ও জনগণের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এসব কারণে বিএনপির সাথে আর আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের নির্দেশে আগের মতোই আমি জেলায় জাতীয় পার্টির কার্যক্রম চালাব। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির প্রচার সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ফুল, সদস্য নূর মোহাম্মদ, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মুকুল, জেলা কৃষক পার্টির সভাপতি এস.এম বাবলু।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.