নোয়াখালীতে আ.লীগ-যুবলীগের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১০ জন
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের খলিফারহাটে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে এক শিশুসহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। গুলিবিদ্ধ ১০ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে খলিফার হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
সুধরাম মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শিপন ও যুবলীগ নেতা জহির মেম্বার ওরফে কসাই জহির গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এর আগেও তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মাঝে মধ্যে এরকম করে থাকে তারা।
ওসি বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর যুবলীগ নেতা জহির মেম্বার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ নেতা শিপন সমর্থিত তিন আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিপন সমর্থিত নেতাকর্মীরা খলিফারহাটে জহির মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় শিশু ও স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীসহ ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। সেই সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন আরও ১০ জন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মাসুদুর রহমান বলেন, আহত অবস্থায় ১০ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের সবার শরীরে গুলির দাগ থাকলেও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।