নৌকায় ভোট চাওয়া ওসির প্রত্যাহার দাবি বিএনপির

804

সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ওসির প্রত্যাহার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি দিয়েছেন সাতক্ষীরা-১ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মো. হাবিবুল ইসলাম হাবিব। প্রত্যাহারের পাশাপাশি ওই ওসির বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার অভিযোগে শুক্রবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর এ-সংক্রান্ত চিঠিটি দেন হাবিব।

Humayun BNPচিঠির সঙ্গে নৌকার পক্ষে ওসির ভোট চাওয়ার ভিডিও, অনুষ্ঠানে মহাজোটের প্রার্থী ও ওসির একই মঞ্চের ছবি, নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ভিডিও ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ তুলে ধরা হয়।

হাবিবুল ইসলামের সই করা লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ওসি শেখ মারুফ আহমেদ এবার আইনবহির্ভূতভাবে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরায় শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত অ্যাক্রোবেটিক সার্কাস প্রদর্শন অনুষ্ঠানে মহাজোটের প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহর উপস্থিতিতে ভোট চান ওসি শেখ মারুফ আহমেদ।

ওই অনুষ্ঠানে বর্তমান এমপি লুৎফুল্লাহ ও কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহম্মদ স্বপন, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজীরহাট কলেজের প্রভাষক সুরাইয়া ইয়াসমীন রত্না (বিধিবর্হিভূতভাবে) একই মঞ্চে ওসি নৌকার পক্ষে এবং হাবিবের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বক্তব্য দেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ওসি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে একটি মেসেজ দিতে চাই, আপনার ব্যালট, আপনি ভোট দিয়ে দেখিয়ে দেবেন, আপনি স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির সাথে আছেন। আমাদের জননেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আপনার একটি ব্যালট, আপনার একটি ভোট অতি মূল্যবান। আপনারা ভোট দেবেন, নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।

সাতক্ষীরা-১ আসনে বর্তমানে নির্বাচনের বিন্দুমাত্র পরিবেশ নেই বলেও অভিযোগ করেন এই প্রার্থী। হাবিবুল ইসলাম বলেন, কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মারুফ আহমেদ এতদিন বিএনপির প্রচারে বাধা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন। আমি নিজেই নিরাপত্তাহীনতায় এলাকা ছেড়েছি। বারবার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার মেলেনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.