‘পরাজয় হবে বুঝতে পেরে ঐক্যফ্রন্ট পেশিশক্তি দেখানো শুরু করেছে’
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে নিজেদের অনিবার্য পরাজয় হবে বুঝতে পেরে ঐক্যফ্রন্ট তাদের পেশিশক্তি দেখানো শুরু করেছে। দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে হত্যা ও চার শতাধিককে আহত করেছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নিজের বাসভবন সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুষ্টিয়ায় এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা (ঐক্যফ্রন্ট) জানে যে, তারা নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ কখনও সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী ও এতিমের টাকা আত্মসাৎকারীদের ভোট দেবে না। এ কারণে তারা পেশিশক্তি দেখানো শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়, যেখানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জনগণ তাদের ভোট ও দেশের মালিক। জনগণ ঠিক করবে তারা আগামী নির্বাচনে কেমন সরকার চায়, যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ প্রধান সুনিশ্চিতভাবে বলেন, তার দলের নেতাকর্মীরা একসাথে থাকলে কেউ তাদের আগামী নির্বাচনে পরাজিত করতে পারবে না।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। বিরোধীদলগুলো ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারা যাতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারে সে জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঐক্যফ্রন্ট হয়তো সন্ত্রাস করতে পারে, এটা তাদের চারিত্র। কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনও তা করবে না।
তিনি দাবি করেন, ঐক্যফ্রন্টের কর্মীরা এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে হত্যা ও ৪০১ জনকে আহত করেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট ৫১ জেলার ৮৮ আসনে হামলা, ভাংচুর, বোমা হামলা ও আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছে। তাদের চরিত্র যা তারা সেটাই করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০১ সালে যা করেছিল তা করতে চায়। তারা ২০০১ সালের মতো জনগণকে অত্যাচার এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়।
গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার জন্য নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ কাজে লাগাতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দয়া করে আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের ভোট দিন এবং পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করুন।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. কামাল হোসেনের অশোভন আচরণের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তার খারাপ ব্যবহার থেকে কেউ ছাড় পাচ্ছে না। তিনি ইসির সাথে ঝগড়া করেছেন। পুলিশ বাহিনী নিয়ে খারাপ কথা বলেছেন। তিনি ঐক্যফ্রন্টের নেতা, একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী। কেউ তার কাছ থেকে নোংরা কথা আশা করে না বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।