‘পরিবারই সন্তানদের আদর্শিক চরিত্রের মূখ্য সূতিকাগার’ – মাদানী
আব্দুলহাই,জার্মানিঃ ভারতের ইসলামি বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন উলেমা-ই-হিন্দ এর সভাপতি হযরত মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানী বলেছেন, পশ্চিমের এসব উন্নত দেশে বসবাসকারী মুসলমান পরিবারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সন্তানদের আদর্শ মুসলিম হিসেবে গড়ে তোলা। সেজন্য প্রত্যেকটি অভিভাবককে ইসলামের বিধি-বিধানের সঠিক অনুসরণের মধ্য দিয়ে সততার সাথে সন্তানদের লালন-পালনের উপর জোর দিতে হবে। কেননা পরিবারই সন্তানদের আদর্শিক চরিত্রের মূখ্য সূতিকাগার।
জার্মানির বন নগরীর ‘হাউজ অফ ইন্টেগ্রেশন’ এর নামাজঘরে ধর্মীয় আলোচনায় বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন ভারত মহাদেশের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা মাদানী। আলোচনা সভায় ইসলামের মৌলিক শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আল্লাহর নির্দেশিত এবং মহানবীর প্রদর্শিত বিধান অনুসারে জীবনের সর্বক্ষেত্রে সততার সাথে জীবন যাপন করার এবং পরিবারের তরুন সদস্যদের জন্য ইসলামের মহান আদর্শের বাস্তবরূপ তুলে ধরার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।
মাওলানা মাদানী পরে ‘হাউজ অফ ইন্টেগ্রেশন’ এর বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং জার্মানির মত অমুসলিম দেশে অভিবাসী পরিবারের শিশুকিশোরদের জন্য আরবী, বাংলা, ইংরেজি, জার্মান ও স্প্যানিশ ভাষা এবং ইসলামী শিক্ষার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এর অব্যাহত সাফল্য ও অগ্রগতি কামনা করেন।
জাতিসংঘের আমন্ত্রণে আস্ট্রিয়া ও ডেনমার্ক এর কয়েকটি বৈঠকে যোগ দিতে মাওলানা সৈয়দ আরশাদ মাদানীর ইউরোপ সফরের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার জার্মানির বন নগরীর মুহাজিরিন মসজিদ এবং ‘হাউজ অফ ইন্টেগ্রেশন’ এ বিশেষ বক্তব্য রাখেন তিনি। এসব ধর্মীয় আলোচনায় বন, কোলন, জিগবুর্গ, মেকেনহাইম, অয়েশকির্শেন, বাড-গোডেসব্যার্গ, ডর্টমুন্ড সহ এর আশেপাশের এলাকা থেকে নতুন বাংলাদেশি ও অন্যান্য দেশের প্রবাসী নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
এসব ধর্মীয় আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে প্রখ্যাত আরবীয়-জার্মান মাওলানা শাইখ জিমজিমি, ‘হাউজ অফ ইন্টেগ্রেশন’এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশি-জার্মান সমাজসেবী ও শিল্পোদ্যোক্তা যুবরাজ তালুকদার, ইন্টেগ্রেশন হাউজ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক তামান্না তালুকদার ও নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশী-জার্মান বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা ও সমাজসেবী কারিম উল্লাহ এবং একরাম উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা পর্ব উপস্থাপন করেন ইন্টেগ্রেশন হাউজ এর শিক্ষা সমন্বয়কারী হোসাইন আব্দুল হাই।
‘হাউজ অফ ইন্টেগ্রেশন’এর সভাপতি জনাব তালুকদার তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসী ভাইবোনদের জন্য এবং নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশি ও মুসলিম শিক্ষা, সংস্কৃতি পৌঁছে দেওয়া এবং মূলধারার জার্মান সমাজের সাথে প্রবাসী ভাইবোনদের একটি যোগসূত্র হিসেবে কাজ করছে এই শিক্ষা কেন্দ্র ও নামাজঘর।