পানির নিচের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান শেখ হাসিনার
আব্দুল হাই, সুইজারল্যান্ডঃ সুইজারল্যান্
প্রধানমন্ত্রী তাঁর আলোচনায় বিশ্বে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পানির নিচের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সকালের অধিবেশন শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সফর দলের প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশের আইসিটি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘ কার্যালয়ে স্থায়ী প্রতিনিধি শামিম আহ্সান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষ্যে তাঁকে স্বাগত জানাতে এবং তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আওয়ামী লীগের সর্মথক এবং নেতা কর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ডাভোসে অবস্থান করছেন।
বুধবার ডাভোসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম কন্যা শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী অনিল দাস গুপ্ত, জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম বসিরুল আলম চৌধুরী সাবু ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস চৌধুরী, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রশীদ বুলু, জার্মানির এনআরডাব্লিউ শাখা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম ও সগীর খান এবং জার্মান যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য শাহীন খান সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “প্রতিবেদনশীল এবং দায়িত্বশীল নেতৃত্ব”।
এই প্রতিপাদ্যের উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে বৈশ্বিক সহযোগিতা শক্তিশালী করা, শেয়ারড আইডেন্টিটি’র ধারণা পুনর্বহাল করা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনর্জ্জীবিত করা, পুঁজিবাদের সংস্কার এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’-এর প্রস্তুতির জন্য আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের শৈশবের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে আমাদের জীবনের শুরু থেকেই পানির সাথে সংগ্রাম করে বাঁচতে হচ্ছে। বিশেষভাবে সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা শোধন করে তা ব্যবহার উপযোগী করে তোলার উপর জোর দিতে হবে এবং কম পরিমানে পানির ব্যবহার করে অধিক পরিমাণ কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের জন্য বাংলাদেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এবারের বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের শক্তিশালী ও সক্রিয় অংশগ্রহণ বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সুষম উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ইতিমধ্যে প্রশংসনীয় অবস্থানে পৌঁছেছে, যার ফলে ফোরামের র্যাঙ্কিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ৩৬তম। প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ তরুণ জনশক্তিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতায় প্রশিক্ষিত করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।