পাবনায় জেলার সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত হয়েছেন ১০ জন। সোমবার রাতের দিকে ভাড়ারা কদমতলা স্লুইচ গেট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন আওরঙ্গবাদ এলাকার মৃত আহেদ আল শেখের ছেলে আব্দুল মালেক শেখ (৫০) ও একই এলাকার বহের খানের ছেলে লস্কর খান (৬৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় দুপক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এ সময় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এলাকায় গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন এবং আহতদের সবাই পুলিশী ঝামেলা এড়াতে অজ্ঞাত স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা।
এ দিকে ভাড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ খান জানান, আক্কাস গ্রুপের লোকজন আওয়ামী লীগ সমর্থক হলেও সুলতান ও তার লোকজন কখনোই আওয়ামী লীগ করেনি। তারা জাসদ করে। সুতরাং সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপ বলা যাবে না।
এ দিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহিন জানান, আক্কাস ভাড়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং সুলতান কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগে তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যোগদান করেছেন।
পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
পাবনা সদর থানার এএসআই আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যা ৬টা ও সন্ধ্যা ৭টায় পৃথক দুটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তিনি আরও জানান, ভাড়ারা কদমতলা স্লুইচ গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।