পুরনো প্রতিশ্রুতিতে জাপার নতুন ইশতেহার
জাতীয় পার্টির (জাপা) সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতি ছাড়াই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ এর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন পার্টির চেয়ারম্যানের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা সদ্য সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রায় হুবহু তুলে ধরে ২০১৮ এর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলো দলটি। ইশতেহার ঘোষণার সময় পার্টির বর্তমান মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ কিংবা কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
জাতীয় পার্টিতে ঠিক মতো গণতন্ত্র আছে কি না- এমন প্রশ্ন উঠে ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে। সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তবে ইশতেহারে জাপা উল্লেখ করেছে, রাজনীতিতে পরিবর্তনের মাধ্যমে সত্যিকার গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটানো হবে।
এদিকে, পার্টির সিনিয়র নেতাদের ছাড়াই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা প্রসঙ্গে হাওলাদার বলেন, সবাই নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। আমি হাইকোর্টের নির্দেশের কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছি না। তাই এখানে আসছি, তা না হলে অন্যরা ইশতেহার ঘোষণা করতো আমিও থাকতে পারতাম না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রকাশিত জাতীয় পার্টির ইশতেহার বলা হয়েছে-
দেশ ও জনগণের কল্যাণে জাতীয় পার্টি দেশে প্রশাসনিক, শাসনতান্ত্রিক এবং গণতন্ত্রের বিকাশের স্বার্থে ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে।
জাতীয় পার্টি মনে করছে- দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নাই। তাই আগামী দিনের জন্য জাতীয় পার্টির লক্ষ্য হচ্ছে- শান্তির জন্য পরিবর্তন।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টি তার ৯ বছরের সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতার আলোকে জনগণের প্রত্যাশা অনুসারে তাদের কল্যাণকামী বাস্তব এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকারের পাশাপাশি চুম্বক কিছু দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবতীর্ণ হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে জাতীয় পার্টি ১৮ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করছে। তা হলো:
১. প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন
* দেশের এককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।
* দেশে বিদ্যমান ৮টি বিভাগকে ৮টি প্রদেশে উন্নীত করা হবে। ৮টি প্রদেশের নাম হবে-
(১) উত্তরবঙ্গ প্রদেশ, (২) বরেণ্য প্রদেশ, (৩) জাহাঙ্গীর নগর প্রদেশ, (৪) জালালাবাদ প্রদেশ, (৫) জাহানাবাদ প্রদেশ (৬) চন্দ্রদীপ প্রদেশ, (৭) ময়নামতি প্রদেশ এবং (৮) চট্টলা প্রদেশ।
* দুই স্তরবিশিষ্ট সরকার কাঠামো থাকবে-
(১) কেন্দ্রীয় সরকারকে বলা হবে ফেডারেল সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারে থাকবে ৩০০ আসন বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ এবং (২) প্রাদেশিক সরকার। প্রাদেশিক সরকারে থাকবে প্রাদেশিক সংসদ। প্রতি উপজেলা কিংবা থানাকে প্রাদেশিক সরকারের এক একটি আসন হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
* যদিও এটা দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার একটা আমূল সংস্কারের বিষয়- তথাপিও আমরা মনে করি, পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে প্রাদেশিক ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ রূপে বাস্তবায়ন করা সম্ভব (প্রাদেশিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা সম্পর্কিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রণীত একটি দিক-নির্দেশনা সম্পর্কিত পুস্তিকায় বিস্তারিত ধারণা দেয়া হয়েছে)।
* ঢাকা শহর থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ সদর দপ্তর প্রাদেশিক রাজধানীতে স্থানান্তর করা হবে।
২. নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার-
* নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করে আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিধান করা হবে।
* নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেয়া হবে।
* সন্ত্রাস, অস্ত্র ও কালো টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে হয়তো সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সময় লাগবে।
৩. পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন-
* উপজেলা আদালত ও পারিবারিক আদালতসহ পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ব্যবস্থা চালু করা হবে।
* স্থানীয় সরকার কাঠামো শক্তিশালী করে এবং নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানদের কাছে উপজেলার ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
৪. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা-
* বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দেয়া হবে। জাতীয় পার্টি সুযোগ পেলে এক বছর সময়ের মধ্যে এটা নিশ্চিত করা হবে।
* পাঁচ বছরের মধ্যে মামলার জট শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা হবে।
* রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের করার প্রবণতা বন্ধ করা হবে।
* প্রাদেশিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে প্রত্যেক প্রাদেশিক রাজধানীতে হাইকোর্টের বেঞ্চ বসানো হবে।
৫. ধর্মীয় মূল্যবোধ-
* ধর্মীয় মূল্যবোধকে সবার ঊর্ব্ধে স্থান দেয়া হবে।
* মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ সকল ধর্মীয় উপসনালয়ের বিদ্যুৎ ও পানির বিল মওকুফ করে দেয়া হবে।
* জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারলে প্রথমেই এ ব্যাপারে ঘোষণা দেয়া হবে এবং এক বছরের মধ্যে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হবে।
৬. কৃষকের কল্যাণ সাধন:
* কৃষকদের ভর্তুকি মূল্যে সার, ডিজেল, কীটনাশক সরবরাহ করা হবে।
* কৃষি উপকরণের কর-শুল্ক মওকুফ করা হবে।
* কৃষকদের বিরুদ্ধে কোনো সার্টিফিকেট মামলা হবে না।
* সহজ শর্তে কৃষি ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
৭. সন্ত্রাস দমনে কঠোর ব্যবস্থা:
* সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি দমনে আরো কঠোর আইন প্রণয়ন করা হবে। সন্ত্রাসসহ অপরাপর অপরাধ দমন করা কঠিন কোনো কাজ নয়, এ ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছাই বড় কথা।
* জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে তিন মাসের মধ্যে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি সমূলে নির্মূল করা হবে। হত্যা-খুন-গুম-ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করা হবে।
৮. জ্বালানী ও বিদ্যুৎ:
* গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি স্থিতিশীল রাখা হবে।
* সারাদেশে পর্যায়ক্রমে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে এবং প্রত্যেক উপজেলায় কৃষিভিত্তিক শিল্পনগরী গড়ে তোলা হবে।
* উত্তরবঙ্গে শিল্পায়নের ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মঙ্গা প্রতিরোধের উদ্যোগ নেয়া হবে। উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ সমস্যা হচ্ছে মঙ্গার আগ্রাসন। এই অঞ্চলের মানুষ বছরের তিন মাস কাজের সুযোগ পায় বাকি নয় মাস বেকার থাকে। ফলে সেখানে দেখা দেয় দুর্ভিক্ষাবস্থা। স্থানীয়ভাবে সেটাকেই বলে মঙ্গা। এই মঙ্গা দূর করতে মানুষের কাজের ব্যবস্থা করা হবে।
* দেশের অনগ্রসর অঞ্চলে শিল্প স্থাপনে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
৯. ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না:
একমাত্র জাতীয় অর্থনৈতিক স্বার্থের বিবেচনায় শিল্প প্রতিষ্ঠা ব্যতীত কৃষি জমি বা ফসলি জমি নষ্ট করে কোনো স্থাপনা কিংবা আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা আইন করে বন্ধ করা হবে।
১০. খাদ্য নিরাপত্তা:
খাদ্যে ভেজাল কিংবা খাদ্যে বিষাক্ত পদার্থ মেশানোর বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন সংশোধন করে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হবে।
১১. শিক্ষা পদ্ধতির সংশোধন:
* শিক্ষা পদ্ধতি সংশোধনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টিউশন নির্ভরতা কমানো হবে এবং কোচিং ব্যবসা বন্ধ করা হবে।
* সুলভ মূল্যে শিক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
* নিবন্ধনকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন সরকারি শিক্ষকদের সমতুল্য করা হবে। এই কর্মসূচিও এক বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
* দেশে একটি স্বতন্ত্র ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা। কওমি মাদ্রাসার সনদকে স্বীকৃতি দেয়া হবে।
* স্নাতক শ্রেণী পর্যন্ত নারী শিক্ষা অবৈতনিক করা হবে। যতই নারী অধিকারের কথা বলা হোক না কেন- দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক এই নারী সমাজ এখনো অধিকার বঞ্চিত রয়েছে। তাদের সচেতন করে তুলতে এবং নারীদের জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে নারী শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সেই লক্ষ্যে এক বছরের মধ্যে স্নাতক শ্রেণী পর্যন্ত নারী শিক্ষা অবৈতনিক করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। দেশে সুষমভাবে শিক্ষা বিস্তারের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে রংপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় এবং রংপুরে শিক্ষাবোর্ড স্থাপন করা হবে।
১২. স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ:
* ইউনিয়নভিত্তিক সেবা খাত উন্নত করা হবে। সবার জন্য স্বাস্থ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
* প্রতি ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তারের দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা হবে।
১৩. শান্তি ও সহাবস্থানের রাজনীতি প্রবর্তন:
* হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক এবং জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হবে।
* শান্তি ও সহাবস্থানের রাজনীতি প্রবর্তনের মাধ্যমে সত্যিকার গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটানো হবে।
১৪. সড়ক নিরাপত্তা:
* সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে সকল রাস্তা-ঘাট সংস্কার করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোকে কর্মপক্ষে ৫০ ভাগ প্রশস্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সেই সাথে সড়ক বিভাজন (ডিভাইডার) নির্মাণ করা হবে।
১৫. গুচ্ছগ্রাম পথকলি ট্রাস্ট পুনঃপ্রতিষ্ঠা:
গুচ্ছগ্রাম, পথকলি ট্রাস্ট পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। জাতীয় পার্টির শাসনামলে যেসব গুচ্ছগ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো- সেগুলো আদর্শ গুচ্ছ গ্রামে উন্নীত করা হবে। গত ২৫ বছরে অভাবের তাড়নায় কিংবা নদী ভাঙনে লাখ লাখ মানুষ ছিন্নমূল হয়ে পড়েছে। ফলে ঢাকা শহরে বাড়ছে ভাসমান মানুষের ভিড়। তাদের গুচ্ছ গ্রামে একটা ঠিকানা দেয়া হবে।
১৬. পল্লী রেশনিং চালু করা হবে:
পল্লী অঞ্চলের মানুষের ন্যুনতম অন্নের সংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পল্লী অঞ্চলে পল্লী রেশনিং চালু করা হবে। এক বছরের মধ্যে পল্লী রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামের মানুষের কাছে রেশনিং ব্যবস্থায় চাল-ডাল-তেল-চিনি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে গ্রামের মানুষ নিয়মিতভাবে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে।
১৭. শিল্প ও অর্থনীতির অগ্রগতি সাধন:
* দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশের অঞ্চলে অঞ্চলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
* শিল্প ঋণ সহজলভ্য এবং নতুন শিল্প স্থাপন করা হবে।
* বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
* বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের দেশে অর্থ প্রেরণকে উৎসাহিত করা হবে।
* বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা হবে এবং পুঁজি বাজারে আস্থা ফিরিয়ে এনে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ সম্প্রসারিত করার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।
১৮. ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা:
* সাধারণ নির্বাচন বাদে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষিত করা হবে। সেক্ষেত্রে সংসদের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৮০। এর জন্য সংবিধানে সংশোধনী আনা হবে।
* সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যার হার অনুসারে তাদের চাকরি ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।
* ধর্মীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা হবে।
ইশতেহারের সমাপনী বক্তব্যে উল্লেখ রয়েছে, দেশ এখন এক ভয়াবহ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সময় সমাগত।