আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য পুলিশ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ একাকার হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।এ ধরনের কর্মকাণ্ড সংবিধান পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেন এই প্রার্থী। বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা কাজ করছে তাদের বদলি করতে সিইসির কাছে আবেদন করেছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।
গত ১৫ ডিসেম্বর নোয়াখালীর সোনামুড়িতে নিজের ওপর হামলা, পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনা সিইসিকে অবহিত করেন মাহবুব উদ্দিন খোকন। সোনাইমুড়ী ও চাটখিল থানার ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত তাদের প্রত্যাহারের বিষয়ে সিইসির কাছে আবেদন জানিয়েছেন মাহবুব উদ্দিন খোকন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির এই প্রার্থী।
ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, শনিবার সোনাইমুড়ীতে ধানের শীষের প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগের কোনো মিছিল ছিল না। আমার গণসংযোগের পেছনে পুলিশ ছিল, সামনেও ছিল। পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে গণসংযোগের বিষয়ে আগ থেকেই অবহিত করা ছিল।
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে সোনাইমুড়ী থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ মানুষের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। আমি জিজ্ঞেস করলাম গুলি করছেন কেনো? গুলি স্টপ করেন প্লিজ। তারপরও ওসি গুলি বন্ধ করেননি। আমি বললাম মানুষকে গুলি কইরেন না। গুলি করলে আমাকে করেন। তখন তিনি আমাকে গুলি করে দিলেন! আমার মোট সাতটা গুলি লেগেছে, পেছনের দিকে ছয়টা আর সামনে একটা।আমি প্রার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্যও সিইসিকে বলেছি। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করেছে। কমিশনের দায়িত্ব প্রর্থীদের নিরাপত্তা দেয়া, যেন সকল ভোটাররা তাদের ইচ্ছামত ভোট দিতে পারেন ভোটারদের নিরাপত্তা দেয়া।