প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী পোশাক শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরির কয়েকটি গ্রেডে যৌক্তিক হারে বেতন বৃদ্ধি করে গ্রেডগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এই ঘোষণা দেন।
এর আগে শ্রম মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে গ্রেডগুলো সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ৩, ৪ ও ৫নং গ্রেডের সঙ্গে ১ ও ২ নং গ্রেডের মজুরির সমন্বয় করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর ফলে সমন্বয়ের পর সব গ্রেডে মজুরি বাড়বে।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী পোশাক শ্রমিকদের বেতন হবে, প্রথম গ্রেডে ১৮,২৫৭ টাকা, ২য় ১৫,৪১৬, ৩য় ৯,৮৪৫, ৪র্থ ৯,৩৪৭, ৫ম ৮,৮৭৫, ষষ্ঠ ৮,৪২০ ও ৭ম গ্রেড হবে ৮,০০০ টাকা।
এর আগে গার্মেন্টস শিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের খাত হওয়ায় এ শিল্প এবং শিল্পখাতের শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয় বিবেচনায় সরকার ত্রি-পক্ষীয় মজুরি কমিটি গঠন করে।
সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সড়ক বন্ধ রেখে আন্দোলন, বাস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও শ্রমিক আহতের ঘটনা ঘটে।
এর আগে গেল বছর মালিক-শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পোশাক খাতে সর্বনিম্ন ৮ হাজার টাকা মজুরি চূড়ান্তের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এ মজুরি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। আর এ মজুরি কার্যকর নিয়ে শ্রমিকরা আন্দোলন করে।