প্রতিবন্ধীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার তাগিদ

392

উইমেন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (ডব্লিউডিডিএফ) নির্বাহী পরিচালক আশরাফুন নাহার মিষ্টি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের শতকরা ১০ ভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধী। আমরা জানি ব্র্যাক প্রতিবন্ধী ও নারীদের অগ্রাধিকার নিয়ে কাজ করে। ব্র্যাক সেন্টারে উঠতে র্যাম্প আছে। কিন্তু জায়গাটা এত ছোট যে আমি নিজে র্যাম্প দিয়ে ব্র্যাক সেন্টারে উঠতে পারি না, সাহায্য লাগে। আবার টয়লেটেও প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু হুইল চেয়ারসহ টয়লেটে ঢুকে দরজা বন্ধ করতে পারি না-পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে, এটি শুধু ব্র্যাকের জন্য নয়, অন্য প্রতিষ্ঠানেও এ সমস্যা হয়।’

image-6808-1543767374

বাংলাদেশ ভিজ্যুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নাজমা আরা বেগম পপি বলেন, ‘এখন রাজধানীর অনেক স্থানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ফুটপাতে ব্লক বসানো হয়েছে, নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। কিন্তু একটি ফুটপাত শেষ করে একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ কিভাবে অন্যস্থানে যাবে তার কোনো নির্দেশনা নেই। আবার মোটরসাইকেল আরোহীদের প্রতিরোধ করতে অনেক ফুটপাতে রড বসানো হয়েছে। এর ফলে হুইল চেয়ার ব্যবহারকারীরা ফুটপাত ব্যবহার করতে পারছে না।’ এমন বাস্তবতার মধ্যে আজ ৩ ডিসেম্বর ‘সাম্য ও অভিন্ন যাত্রায় প্রতিবন্ধী মানুষের ক্ষমতায়ন’ প্রতিপাদ্য করে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস।

বিজ্ঞজনেরা বলছেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধীর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তাদের মতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক এসডিজি-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা বলেন, ‘আমাদের ভালো ভালো আইন আছে। সংবিধানে নির্দিষ্ট করে বলা আছে। নেই শুধু বাস্তবায়ন। পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘সরকারের চলমান কাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ ও তার বাস্তবায়ন জরুরি।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.