প্রথম শহিদ মিনারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই

486

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। মায়ের ভাষা রক্ষায় সেদিন রাজপথে প্রাণদান করেন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ আরও অনেকে। এই আন্দোলনে রাজশাহীর সর্বস্তরের পেশাজীবী ছাত্র-জনতার গৌরবময় ভূমিকা ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে।

image-70264

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বাহান্নের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় ভাষার দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন তুঙ্গে। রাজশাহীতেও ভাষার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পাকিস্তানি সরকারি বাহিনীর গুলিতে বহু ছাত্র হতাহত হন। সেই খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী কলেজে জমায়েত হন ছাত্ররা।

রাজশাহী মেডিকেল স্কুলের সিনিয়র ছাত্র এসএম গাফ্ফারের সভাপতিত্বে ওই জমায়েতে রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলন এগিয়ে নিতে গঠন করা হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সেখানেই শহিদ ছাত্রদের স্মরণে শহিদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।

ইট ও কাদামাটি দিয়ে ওই রাতেই কলেজের মুসলিম হোস্টেলের এফ ব্লকের সামনে শহিদ মিনার তৈরি করেন ছাত্ররা। কিন্তু পরদিন সকালে পুলিশ এসে শহিদ মিনারটি গুড়িয়ে দেয়। ভাষা শহিদদের স্মরণে দেশের প্রথম নির্মিত শহিদ মিনার এটি।

‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগান পরে রূপ নেয় ‘জয় বাংলায়’। জন্ম নেয় একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে রচিত হয় বিরল ইতিহাস। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর প্যারিসে এক সম্মেলনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। বিশ্বের ৭ম স্থানীয় এ ভাষায় কথা বলে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ। বাংলার এতো গৌরবের ইতিহাস এবং এর বহুল ব্যবহার ও স্বীকৃতি আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় এখনো রাজশাহীতে যারা বেঁচে আছেন, তাদের একটাই দাবি, দেশের প্রথম শহিদ মিনারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। প্রথম শহিদ মিনারের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আমারাও চাই। এই দাবির পক্ষে আসুন অনলাইন আবেদনে অংশ নিই। আপনার এই আবেদন পৌঁছে যাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে।

#প্রথম_শহিদ_মিনারের_স্বীকৃতি_চাই
#MakeFirstShahidMinarOfficial

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.