ফিরিয়ে দাও বঞ্চিত মায়ের ভালোবাসা…!!!
”মা”…!!!
যার কোন তুলনা হয়না।
সময় বদলে যায়, মানুষ বদলে যায় কিন্তু বদলায় না মায়ের ভালোবাসা।
সেই ছোট বেলা থেকে মা কতো স্নেহ, আদর, যত্ন করে মানুষ করেছেন আমাদের।
সেই মাকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিশির সুপরিচিত কবি,
__কবি আমিনা ইসলাম (মিতা)__
এ পৃথিবীতে মা-সন্তানের ভালোবাসা চিরন্তন আমি সেটা মানি আমার মন থেকেই,
কত ভাবে বলি মা’কে ভালোবাসি যেথায় কভূ নয় পরিবর্তন।
আবার এর ব্যতিক্রম ও কিন্তু হয় আর তা না হলে বৃদ্ধ নিবাসে কী যে হাহাকার,
কান্নার রোল, কত যে অপেক্ষা সে কথা তো মিথ্যা নয়! যখন তুমি হাটতে,
চলতে পারতে না কথা বলতে মা জননী কত মমতায় কত যত্নে শিখিয়েছে হায়
ছোট ছোট পায়ে চলা মিঠে মিঠে কথা বলা।
আজ তোমার অর্জন জীবনের কত আয়োজন এমনিতে কী এসে গেছে?
মায়ের জঠর তোমায় না ধরলে তুমি কোথায় রইতে বেলা শেষে!
কত মা কাঁদে গোপনে গোপনে নিজ সন্তানদের অবহেলা সয়ে নিরবে নিভৃতে আধা জীবন নিয়ে।
হায় রে মায়েরা কত কষ্ট করে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধরে
বিনিময়ে পায় শুধু দুঃখ ও লাঞ্ছনা শেষ হয়ে যায় মায়েদের বাঁচার বাসনা!
কত মা আজো অপেক্ষায় আছে বছরের পর বছর,
শুধু পথ চেয়ে জড়াবে সন্তানদের শুধু একবার বুকের মাঝে।
অভিমানী সন্তান বোঝে না সে কথা মায়ের মনের ব্যাথা
ক্লান্ত চোখে ক্ষয়ে ক্ষয়ে মা তবুও তো অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না ।
হয়তো সেদিন ই সন্তান বুঝবে যেদিন জননী শেষবার চোখ বুজবে!
মায়ের মুখ থেকে যেনো কখনও উহ্ শব্দ বের না হয়
এমন বিধান আছে ইসলাম ধর্মে জেনেছো
কিন্তু বুঝোনি সে কথার অর্থ মায়েদের বঞ্চিত করেছো হেন সার্থে।
মা ও সন্তান সকলই তো মানুষ, কোনো মানুষ কভূ ভুলের উর্ধ্বে নয়
আল্লাহ দেননি সন্তানদের কখনও মা’কে বিচারের এখতিয়ার,
সেই সন্তানদের বলি ফিরিয়ে দাও দুখিনী মায়েদের সন্তানদের কাছ থেকে ভালোবাসা পাবার অধিকার।
বিশ্বাস করো কিন্তু মানো না “মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত” যত আমল করো দুনিয়ার মাটিতে
সবই যাবে বিফলে তখন আর পরকাল যাবে ভেস্তে।
তাই অভিমান ফেলে, দুঃখকে ভুলে, মায়েদের বুকেতে নাও টানি,
সে শূন্য বুকে শ্বাসত ভালোবাসা মায়ের অধিকার পুর্নতায় ভরো আনি।