ফেসবুকের টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিতর্ক

225
ফেসবুক এখন কাঁপছে হ্যাশট্যাগ টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জে। ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে কী রকম পরিবর্তন হয়েছে তার ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি রীতিমত ভাসিয়ে দিচ্ছে এর ব্যবহারকারীরা।

facebook_challenge_pic_1

মূলত এক দশকের মধ্যে চেহারা ও স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনের দুই ধরনের ছবি দিয়ে এমন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে মানুষ। সময়ের পরিক্রমায় এসব ছবিতে মানুষের জীবনযাপনের পরিবর্তনও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এক দশকের পথচলায় পিছনে ফিরে তাকানোর এমন চ্যালেঞ্জে বেশ আলোড়ন তুলেছে ফেসবুকে।

স্বাভাবিকভাবেই সবাই নিজের পরিবর্তন দেখে বিস্মিতই হচ্ছে, কেউ হাসছে, কেউ আবেগীও হয়ে উঠছে। অনেকে মজার মজার ছবি দিয়ে সময়ের পরিবর্তন প্রকাশ আরও বেশি মজাদার করে তুলছে ফেসবুক টাইমলাইনকে।

হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, এ চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইতোমধ্যে বিতর্কও উঠেছে। বলা হচ্ছে, মানুষের ছবি শনাক্ত করার এলগরিদম প্রক্রিয়াকে কার্যকরী করে তুলতে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষকে এমন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে ফেসবুক।

প্রযুক্তি বিষয়ক প্রভাবশালী লেখিকা ক্যাট ও’নেইলের মতে, বয়সের ফলে মানুষের চেহারা পরিবর্তন ও বৈশিষ্ট শনাক্তকারী এলগরিদমকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে নতুন এ আকর্ষণ হাজির করেছে ফেসবুক।

টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, বয়সের ফলে মানুষের মধ্যে কীরকম পরিবর্তন হচ্ছে সেটি অনুসন্ধান করতে চায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। এর মধ্য দিয়ে মানুষের এ ধরনের বৈশিষ্টগত তথ্য সংগ্রহ করে নিচ্ছে তারা।

তবে তিনি স্বীকার করেছেন, পুরনো ছবি ফেসবুকেই পাওয়া যায়। ফলে এটি বের করা তো নতুন কিছু নয়। তবে পাশাপাশি দুইটি ছবি রেখে এক দশকে কারও চেহারার পরিবর্তনকে বিশ্লেষণ করতে এমএল এলগরিদমের জন্য অনেক বেশি সহজতর।

তর্ক-বিতর্ক ও সমালোচনার ঝড় উঠায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ চ্যালেঞ্জ নিয়ে মুখ খোলে। এলগরিদমকে প্রশিক্ষিত করে তোলার সমালোচকদের এ দাবি সত্য নয় বলে জানায় তারা।

এক টুইটার বার্তায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি জানায়, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিজ উদ্যোগেই টেন ইয়ার চ্যালেঞ্জ ছড়িয়ে দিয়েছে। এখানে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এর মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়, ফেসবুক ব্যবহার করে মানুষ আনন্দ পায়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.