ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জের মহিলা আ’লীগ থেকে বহিষ্কার সেই মিলি
বাংলাদেশ:আওয়ামী লীগ নেতাদের চরিত্র নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহানা মিলিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত সোমবার মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
গত শনিবার সকালে মিলি তার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো : তিনি লিখেন, “রাজনীতি বুঝুক না বুঝুক, সেক্সনীতি বুঝলেই বাপের বয়সী সাধারণ সম্পাদকের কোলে বসে ফুরতি করাটাই রাজনীতিতে পদবি পাওয়ার কাজ দেবে! শিতি না হলে দোষ নাই, একাধিক নেতা আর হ ব্যবসায়ীদের শারীরিক সুখ দিতে পারলেই পদবি পাওয়া যাবে! মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুই চারটা রাজনৈতিক ভালো কথা বলতে না পারলে ও হোটেলে গিয়ে বাচ্চাদের ভঙ্গিমায় প্রেমালাপ পারলেই রাজনীতি হবে! স্বামীর রোজগারে ঠিকমত বাসাভাড়া আসবে না, কিন্তু জীবনযাপনের স্টাইল লাখ টাকার বাজেটে করতে পারাটাই রাজনৈতিক সার্থকতা তাদের জন্যে!…‘পরিবারে নেই কোন জবাবদিহি, তাই যাচ্ছেতাই করা যায়। তাছাড়া বড় বান্ডেল দেখলে আয়বিহীন পরিবারের বাপ-মায়ের চোখে অসৎ মেয়ের গোলাপি চরিত্র সকল অপরাধ ই ম্লান করে দেয়! জানতে ইচ্ছে করে যদিও তাদের বাপ-মা কি তবে বেশ্যা ছিলেন??? তবুও না জেনে বুঝার বাকি থাকে না যে, বেশ্যা না থাকলেও নিজের মেয়ের বেশ্যাবৃত্তি কে রাজনীতির সার্টিফিকেট দিতেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন মূর্খ, অশিতি আর অবুঝ বাপ-মা!!’
এটাই তাদের জীবন,,,,,,
তারা এভাবেই চলে,,,,,,
তারা এমনি,,,,,,
কারণ???’
‘খুব সহজ, স্থানীয় এমপি আর রাজনৈতিক বড় পদের মালিকদের সাথে তাদের গোলাপঝরা শখ্যতা! অভঃবৎ ধষষ, তাদের ইয়াবা আর মাদক ব্যবসা এবং রাজনৈতিক পদ বেচে দেহব্যবসা সফল করতে ও সচল রাখতে এইসব পদবি আর বয়সে আব্বারা ই ত একমাত্র সহায়ক!’
সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিলির এমন স্ট্যাটাসের দলের বিভিন্ন স্তরে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল তাকে মহিলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। তাকে বহিষ্কার করে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম বলেন, ‘ফারহানা মিলি তার নিজস্ব যোগাযোগ মাধ্যমে যে অসৌজন্যমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সে জন্য বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তার এই সংগঠনপরিপন্থী অসৌজন্যমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলো।’