সে সময় স্কুলের গার্ড এসে তাকে জানান কেউ একজন স্কুলে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করছে। এটা শুনে কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে যান মেলিসা। তারপরই তার সামনে থাকা ১৯ শিক্ষার্থীকে একটি ক্লাসরুমে ঢুকিয়ে দেন এবং সেখানেও নিরাপদ মনে না করায় তিনি সবাইকে ক্লাসরুমের ভেতরে থাকা আলমারির মধ্যে চাপাচাপি করে ঢুকিয়ে দেন।
ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পর নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ টিম ‘সোয়াট এসে তাদের উদ্ধার করে। আর এ ঘটনায় ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছেন মেলিসা।
ওই তিরিশ মিনিট তার জীবনের ভয়াবহতম সময় উল্লেখ করে মেলিসা বলেন, ‘ঘরে ঢুকেও প্রথমে ভেবে উঠতে পারিনি ওদের বাঁচাতে কী করতে পারি। প্রথমে তো ঘরের কোণে সবাইকে নিয়ে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। পরে মাথায় আসে আলমিরার মতো সুরক্ষিত জায়গা আর নেই। ১৯ জনকে সেখানেই ঢুকিয়ে ফেলি। ছেলেমেয়েরা তখন অনেকেই কাঁদতে শুরু করেছে। কেউ কেউ শুধু ফোনে টেক্সট করে যাচ্ছিল।’
মেলিসা শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচালেও তার কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু স্কুলের নিরাপত্তারক্ষী এবং ফুটবল কোচের দায়িত্ব পালন করা অ্যারন ফিস শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের জীবন। যখন বন্দকধারী নিকোলাস সামনে গুলি চালাচ্ছিল তখন শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গুলির সামনে নিজেই মানব ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান অ্যারন। এর ফলে বহু শিক্ষার্থী বাঁচলেও অনেকগুলো বুলেট তার শরীরে বিদ্ধ হওয়ায় মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে তাকে।
নিহতদের তালিকায় রয়েছেন স্কুলের ক্রীড়া প্রশিক্ষক ক্রিস হিক্সন।