বগুড়ায় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে যা ঘটেছিল

118

‘বগুড়ার নেতার সঙ্গে বিতণ্ডায় মির্জা ফখরুল’- এ শিরোনামে একটি শীর্ষ সংবাদমাধ্যমের অনলাইনের খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম।

বুধবার সন্ধ্যার দিকে নিজের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানান এই বিএনপি নেতা।

এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে গত প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। তখন আমাদের দলের মহাসচিব আমাকে ফোন করে জানান যে, তিনি বুধবার ঠাকুরগাঁও থেকে ফেরার সময় বগুড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনোত্তর মতবিনিময় করবেন। তখন আমি উনাকে জানাই, আমি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি।

তিনি বলেন, আমি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে আমার জেলা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনকে দায়িত্ব দিচ্ছি। যথারীতি আমি সাধারণ সম্পাদককে কর্মসূচি সফল করতে কাজ করার নির্দেশনা দিই। তিনি (চাঁন) প্রোগ্রাম ঠিকই করেন। কিন্তু একবারের জন্যও আমাকে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি অবহিত করেননি।

সাইফুল বলেন, বুধবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকা ফেরার পথে বুধবার বগুড়ায় আসেন। শহরতলীর মমো ইন হোটেলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হোটেলের তিনতলায় তিনিসহ আমরা অনেকেই ছিলাম। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার পর ওই হোটেলেরই ৭ তলায় মিলনায়তনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য মহাসচিবসহ আমরা জেলা নেতারা লিফটে উঠি।

তিনি বলেন, লিফটের ভেতরে আমি মহাসচিবের সামনে জেলা সাধারণ সম্পাদককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি। তিনি (জেলা সাধারণ সম্পাদক চাঁন) সঠিক জবাব না দিয়ে একটু উচ্চস্বরে কথা বলেন। আমিও প্রতি উত্তরে উচ্চস্বরে কথা বলি। তখন আমাদের মহাসচিব আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘এই আপনারা কী শুরু করেছেন। থামেন। এখানে মিডিয়ার লোকজন আছে। তারা বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক অনেক কিছু করে ফেলবে। আপনারা সংযত হোন।’

সাইফুল আরও বলেন, মহাসচিব আমাকে থামতে বলেন। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই। কিন্তু উনার কথাই সত্যি হলো। মিডিয়া এটাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছে, যা দুঃখজনক।

এ ব্যাপারে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন চাঁন বলেন, ঘটনা কিছুই নয়। সামান্য একটা বিষয় মিডিয়া তিলকে তালে পরিণত করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, মহাসচিবের সামনে জেলা সভাপতি (সাইফুল ইসলাম) আমাকে একটু উচ্চস্বরে বলছিল- তুমি প্রোগ্রামের বিষয়ে আমাকে কেন জানালে না? আমি বলেছি- আমি তোমাকে সবই জানিয়েছি। কেন তুমি মহাসচিবের সামনে মিথ্যা বলতেছো’। তখন মহাসচিব আমাদের থামতে বলেন। তিনি (মহাসচিব) সভাপতি সাইফুলকে বলেন, আমি নিজেও তো এ প্রোগ্রামের বিষয় তোমাকে জানিয়েছি। কেন তুমি চাঁনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছ? তিনি সাইফুলকে থামিয়ে দেন। এরপর আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.