বর্ষাবরণ নিয়ে শ্রেনীভেদে একেক মানুষের একেক রকম অনুভুতি…!!!
বর্ষার আগমনে………
বর্ষার বারিধারায়, সারাদিন মনে জাগে
রিমঝিম রিমঝিম ছন্দে আনন্দে,
মেঘের ভেলায় চড়ে মন হয় উদাসী
দিনগুলি কেটে যায় ভাল আর মন্দে ।
পাখিদের কলতান নেই যেন কোথাও
অসহায় জবুথুবু তাকিয়ে আকাশ পানে,
গগনে গরজে মেঘ, ভয়ে তাই কাঁপে মন
পতত্রী তার ছানাদের বুকে নেয় টেনে।
প্রকৃতির করুন সুরে বাজে জলতরঙ্গ
খাল বিল থৈথৈ অবিরাম বর্ষণে,
কবিদের লেখনিতে জাগে প্রেম অফুরান
ভাষার বর্ণন হয় বর্ষার আগমনে।
কেউ বলে, “আনন্দধারা বহিছে ভুবনে”
কারোর কাব্যে আর লিখনিতে আছে,
“শ্রাবন নিশিথে এই মন খোঁজে কারে”
কেউ বা বলে,”বরষায় আজিএ মন নাচে”।
ধনীদের বর্ষা বিলাসী মন থাকে উচাটন,
অট্টালিকায় বসে উপভোগে বর্ষার বরিষণ।
অশ্রুঝরা সম গরীবের শ্রাবনধারা,
এই বুঝি গেল ভেংগে মাটির ঘরখানা।
বানের জলেতে ডুবে মরে কত কচি প্রান,
অজানা আশংকায় দিন যায় গুজরান।
ঘরেতে নেই খাবার, ক্ষুধার জ্বালা পেটে,
চারদিকে শুধু পানি, কাজ নাহি জোটে।
ধনী বলে, নদীতে উজান চলো নৌবিহার,
দারিদ্র্যের কষাঘাতে গরীবের হাহাকার।
নদীর ভাঙনে হায়, এই বুঝি প্রাণ নাই,
যাবো কোথা? মাথা গোঁজার নাই তো ঠাঁই।
খোলা আকাশের নিচে উঁচু বাঁধই ভরসা,
মানুষ আর পশু মিলে একত্রে বাঁচার আশা।
চেয়ে থাকে অপলকে সাহায্যের আশায়,
আগলে রেখে জীবনটাকে ঘরের মাচায়।
দুর্দশাগ্রস্ত দরিদ্র থাকে প্রকৃতির খেয়ালে,
এই বর্ষার আগমনে কি আছে কপালে ?
বর্ষাবরণ নিয়ে শ্রেনীভেদে একেক
মানুষের একেক রকম অনুভুতি,
কারো কাছে বর্ষা আসে বিলাসী আবেশে
আবার কারো কাছে বর্ষা মানে
চরম দুর্দিন, দুর্দশা আর দুর্গতি।
হে সমাজপতি, দরিদ্রের দুর্দশা লাঘবে
হস্তখানি বাড়াও সহযোগীতায়,
শুধু বিলাসী আবেশে মত্ত না থেকে
মন প্রশস্ত কর উদারতায়।
~ সাদিয়া শারমিন ~
৩০ জুলাই ২০১৬