সব কিছু ঠিক-ঠাকই চলছিল। তৃতীয় দিনও উৎসবের আমেজে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনছিলেন ধানের শীষ প্রতীক প্রত্যাশীরা। বুধবার প্রায় দুপুর ১টা। হঠাৎ করেই দৃশ্যপট পরির্বতন হয়ে যায়। বিএনপি অফিসের সামনে সড়ক বন্ধ করে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সরাতে যায় পুলিশ। এতে বাধ সাধে নেতাকর্মীরা।
প্রত্যদর্শীরা জানান, নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর চড়াও হন বিএনপি কর্মীরা। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরাও পুলিশের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।
মহিলা দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আহত মুকুল আক্তার কনা বলেন, ‘আমরা কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালায়।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ।
পরিবেশ কিছুটা শান্ত হলে দুপুর ২টায় বিএনপি অফিসের নিচে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিনা উস্কানিতে সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশ বাহিনী অতর্কিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
‘আপনারা মৌচাকে ঢিল মেরেছেন কেন?’ পুলিশ বাহিনীর কাছে এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘আপনারা ভেবেছেন আমাদের শান্তিপূর্ণ এই মনোনয়ন ফরম বিক্রি করার সময় হামলা চালিয়ে আমাদের স্বাভাবিক কাজ বন্ধ করবেন, সেটি আর হবে না। কোনো রক্ত চক্ষুকে শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা ভয় করে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের গুলি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ।’
এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নির্দেশে নেতাকর্মীদেরকে ফুটপাতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করার আহবান জানান।
পুলিশ যা বলছে:
তবে বিনা উস্কানিতে পুলিশের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা করেছে বলে জানিয়েছেন মতিঝিল বিভাগের ডিসি আনোয়ার হোসেন।