পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন নোয়াখালী-১ (চটাখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে বিএনপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা বিএনপি জানিয়েছে, সোনাইমুড়ি বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগের সময় পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হন মাহাবুব উদ্দিন খোকন। তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনাইমুড়ি উপজেলা বিএনপির দাবি, বিকেলে থেকে শান্তিপূর্ণভাবে হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ গণসংযোগ করছিলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন। একটি মিছিল নিয়ে সোনাইমুড়ি বাজারে পৌঁছুলে অাওয়ামী লীগ ও যুবলীগ যৌথভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। পুলিশও তাদের সঙ্গে মিলে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া উপজেলা বিএনপির নেতা ইকবাল হোসেন রুবেল, মো. সোহেল উপজেলা যুবদলের নেতা আলাউদ্দীনও গুলিবিদ্ধ হন।
এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। হামলার এ ঘটনায় প্রায় ৩০ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ গুলিবিদ্ধদের নোয়াখালী জেলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওসি আবদুল মজিদ বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছি।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিনের উপর হামলা করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের কর্মীরা। হামলায় মাহবুব উদ্দিন খোকনের গাড়ি ও চাটখিল পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তফা কামালের গাড়ী ভাংচুর করা হয়। হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয় ও বাজারের দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে জানান নোয়াখালী-১ (চটাখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে বিএনপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোট আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন।