বিদেশি পর্যবেক্ষক বিষয়ে ইসির বৈঠক ২৫ নভেম্বর

851

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আগামী ২৫ নভেম্বর বৈঠকটি হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে না আসার কথা জানানোর পর ইসি এ বৈঠকে বসছে। সোমবার বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা করতে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।

ec_foreigner

এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবারও পর্যবেক্ষণে আসবে না বলে জানিয়েছে। অন্যদের পর্যবেক্ষণে আনতে করণীয় নির্ধারণে ২৫ নভেম্বর একটি বৈঠক হবে। এতে পররাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন সচিব, পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।

সোমবার সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব জানান, আসন্ন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে কথা বলতে এসেছিলাম। তাদের জন্য কমিশনের কি ব্যবস্থাপনা রয়েছে তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজন জানতে চেয়েছেন। তবে, কোন কোন দেশ থেকে কে বা কারা পর্যবেক্ষণে আসবেন বা কোন দেশ থেকে আসবেন না সে বিষয়ে আজকে কোনো আলোচনা হয়নি।’

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নই সবচেয়ে বেশি পর্যবেক্ষক পাঠায়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সহিংসতার কারণ দেখিয়ে সংস্থাটি প্রথম মুখ ফিরিয়ে নেয়।

এরপর সংস্থাটির পথ ধরে অন্যরাও সে বছর নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসেনি। অথচ ২০০৮ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে এই সংস্থাটিই সব থেকে বেশি পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছিল।

ইইউ না বলার কারণে কমিশন বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আনতে জোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। যদিও বিষয়টি নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থার উপর। কেন না নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশিদেরই আবেদন করতে হয়। কেউ আবেদন করলে যেন সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা ঠিক করতেই মূলত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে মাত্র ৪ জন বিদেশি পর্যবেক্ষণ করে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে ৫৯৩ জন বিদেশি, ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ২২৫ জন বিদেশি, ১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিদেশি ২৬৫ জন ও ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ৫৯ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ১১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে কমিশন। বৈঠকে সংস্থাগুলোর প্রধানদের নির্বাচনের বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্রিফ করবেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেশি সংস্থাগুলোকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২১ নভেম্বরের মধ্যে আবেদনও করতে বলেছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারিত রয়েছে ৯ ডিসেম্বর।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.