বিদ্রোহীরা সোমবারের মধ্যে না সরলে কঠোর ব্যবস্থা: আ’লীগ
অবশেষে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর’ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এজন্য তাদের জন্য সময়ও বেধে দিয়েছে দলটি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর সোমবারের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে এবং মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার পৃথক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা দলের কঠোর অবস্থানের কথা জানান।
নিজের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে যাওয়ার পথে শনিবার ফেনীর দাগনভূঞায় যাত্রাবিরতির সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা অপেক্ষা করুন, দেখুন। দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আওয়ামী লীগের গণজোয়ার দেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির নেতারা বেসামাল হয়ে পড়েছে। শতকরা ৯০ ভাগ লোকের সমর্থন দেখে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কাল্পনিক অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন সব সময় ন্যায়-নীতি, মানবতা ও গণতন্ত্রের কথা বললেও বর্তমানে তিনি নষ্ট রাজনীতির প্রবক্তা। শুক্রবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের খামোশ বলে অপমান করেছেন। তিনি পাকিস্তানি ভাষায় খামোশ বলে নিজের স্বরূপ উপস্থাপন করেছেন।’
এদিকে, রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নাই। কিছু প্রার্থী আছে, যাদের আমরা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে এবং আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এর ব্যতয় হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এ সময় নির্বাচনের সময়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগও করেন নানক, ‘রিজভীর (বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব) অসংলগ্ন কথাবার্তা ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যা শুনলে স্বয়ং ইবলিশ শয়তানও লজ্জা পেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখছেন, তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে কিভাবে লজ্জাকর মন্তব্য করেছেন। মিথ্যা বলা যাদের অভ্যাসে পরিণত হয়, তাদের পক্ষে সত্যের পথে ফিরে আসা অত্যন্ত দুরূহ।’
উল্লেখ্য, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রায় দেড় ডজন আসনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তারা সমানে নির্বাচনের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এ নিয়ে কয়েকটি স্থানে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘাতও হয়েছে।