বৃহত্তর পাবনা সমিতি অব পেনসিলভেনিয়ার বার্ষিক বনভোজন ২০১৬
মোর্শেদ টিটো, পেনসিলভেনিয়াঃ বিপুল উৎসাহ আর উদ্দীপনায় উদযাপিত হল বৃহত্তর পাবনা সমিতি অব পেনসিলভেনিয়ার বাষিক বনভোজন ২০১৬।
পেনসিলভেনিয়ার বাঙ্গালী কমিউনিটির ইতিহাসে এইপ্রথম বাসযোগে বণিল প্রাণের উচ্ছাসে পরিবার পরিজন নিয়ে একটি দিন আনন্দঘন পরিবেশে কাটিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার বৃহত্তর পাবনা সমিতি অব পেনসিলভেনিয়া, ইউ, এস,এ উদ্দ্যেগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ্যাডভন্সার একুরিয়াম, ক্যামডেন, নিউ জাসিতে পালিত হল বাষিক বনভোজন ২০১৬।
বনভোজন উদযাপন কমিটির সাবিক ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে এবং আলমাস ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর সাবিক সহযোগিতায় বন- ভোজনের বাস সকাল ১০ ঘটিকায় স্হানীয় ল্যান্সডেল গালফ গ্যাস স্টেশন থেকে এ্যাডভেন্সার একুরিয়ামের উদ্দ্যেশে যাত্রা শুরু করে। বাস যাত্রার শুরুতে দোয়া পরিচালনা করেন জনাব মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ।
চলন্তবাসে সংগঠনের সভাপতি জনাব আবুল হাসান মিলন বনভোজনে অংশগ্রহণ করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে একে একে সবার পরিচয় তুলে ধরে বলেন আপনাদের স্বতস্ফুত অংশগ্রহণ আজকের বনভোজনকে এক আনন্দমেলায় পরিনত করেছে। তিনি উদযাপন কমিটির সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এত অল্প সময়ে এমন এক ব্যতিক্রমধমী বনভোজন আয়োজন করতে পেরে আমরা খুবই গবিত। এসময় সংকিপ্ত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্ঠা জনাব মোহাম্মদ আব্দুল হাই মিয়া, উপদেষ্ঠা মোকলেছুর রহমান খাজা, সাধারণ সম্পাদক ম. ম. মোর্শেদ টিটো, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিপ্লব কে রায়, সদস্য আবু সাইদ খান এবং বনভোজন উদযাপন কমিটির আহবায়ক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। প্রধান উপদেষ্ঠা জনাব মোহাম্মদ আব্দুল হাই মিয়া অতি অল্প সময়ে পেনসিলভেনিয়ায় ব্যাতিক্রমধমী এমন এক বনভোজন আয়োজন করার জন্য উদযাপন কমিটির সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ব্যতিক্রমধমী এরকম একটি বনভোজন আয়োজন করতে পেরে সুদুর আমেরিকায় বৃহত্তর পাবনা জেলার সুনাম সবচ্চো শিখরে পৌছে গেছে। তিনি আরো বলেন সবার সহযোগিতা এবং আন্তরিকতা থাকলে ভবিষ্যতে আরো সুন্দর সুন্দর কমসুচী বৃহত্তর পাবনা সমিতি আয়োজন করতে পারবে বলে বিশ্বাস। তাই সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সাবিক সহযোগিতা করার জন্য তিনি সবার প্রতি উদাত্ত্ব আহবান জানান।
বনভোজনের আনন্দ উপভোগ করতে কেউ এসেছিলেন পরিবার-পরিজনদের নিয়ে, কেউ এসেছিলেন যুগলভাবে অথবা কেউ এসেছিলেন এককভাবে। প্রবাসের কমব্যস্ততার মাঝে এবং আবদ্ধ ঘরের গন্ডি পেরিয়ে শিক্ষামুলক এমন এক স্থানে বনভোজন করতে এসে পরিচিতজনদের একত্রে পেয়ে গল্পগুজব, হাসি-তামাশা আর মো: সেলিম হোসেন এবং সুলতান মাহমুদ খান শাহীনের তত্ত্বাধানে বেনসালামের ঐতিহ্যবাহী এশিয়ান হালালমিট এর সরবরাহকৃত সু-স্বাদু এবং মুখরোচক খাবার ভোজন করে সবাই যেন হারিয়ে যায় আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে এবং আলমাস ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর প্রতিনিধি জনাব পারভেজ কতৃক এ্যাডভেন্সার একুরিয়ামে ৮০০০ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের সাথে পরিচিত হতে পেরে কিশোর কিশোরীরাসহ বনভোজনে অংশগ্রহণকারীগন আনন্দের পাশাপাশি জ্ঞান আহরণে ব্যস্ত হয়ে পরে।
শেষে বনভোজনের আকষণ রাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। জনাব আব্দুল মতিন কতৃক প্রদত্ত প্রথম পুরুষ্কার ৪০ ইঞ্চি স্মাট টেলিভেশনটি জিতে নেন সভাপতির সহধমীনি শারমিন হাসান নীলা, সিটি অব জয় কতৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় পুরুষ্কার ল্যাপটপ জিতে নেন সদস্য সচিব এবং সংগঠনের সহ সভাপতি মো: সেলিম হোসেনের স্ত্রী শামিমা আক্তার শাম্মী এবং নুরুজ্জামান নয়ন কতৃক প্রদত্ত্ব তৃতীয় পুরুষ্কার ট্যাবলেট জিতে নেন ফারহানা পারভিন রেবা।
বনভোজনের বাস বিকাল ৫ ঘটিকায় এ্যাডভেন্সার একুরিয়াম থেকে যাত্রা শুরু করে ইতিহাস বিজড়িত ফিলাডেলফিয়ায় লিবাটি বেলে যাত্রা বিরতি করে এবং সন্ধ্যায় ল্যান্সডেলে এসে পৌছলে সংগঠনের সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষনা করে বলেন, আগামী ১ অক্টোবর বাদ মাগরিব ঈদ পুনমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। তিনি সবাইকে উপস্থিত থাকার জানার জন্য অনুরোধ করেন।
বনভোজন উদযাপন কমিটিতে ছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার আহবায়ক, মো: সেলিম হোসেন, সদস্য সচিব এবং সদস্যগণ হলেন মোকলেছুর রহমান খাজা, আরিফুজ্জামান মিয়া, সেলিম রেজা, আবু সাইদ খান, আলতাব হোসেন, নজরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ঝান্ডা, এবং সুলতান মাহমুদ খান শাহীন। সাবিক সহযোগিতায় ছিলেন মো: জাহিদ হোসেন, মো: জাকির হোসেন, রেজাউল করিম বাবু, মো: করিম, শারমিন হাসান নীলা, নাঈমা আক্তার বন্যা, শামিমা আক্তার শাম্মী, হাসনুন বেগম রানী, নুরজাহান, লিপি ইসলাম এবং সাদিযা শারমিন খান এ্যামি।