ব্যারিস্টার মইনুলের জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
মানহানির অভিযোগে করা ১৫ মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে, তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মইনুলের পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা।
খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মানহানির অভিযোগে বিভিন্ন আদালতে দায়ের করা ১৫ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি টেলিভিশন ‘একাত্তরে’ টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি লাইভে যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?’
মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন।
এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এরপর রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে মামলা হয়।
তবে রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মইনুল হোসেনকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তাকে রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়।