ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে : ডা. শফিক

404

জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল ও ঢাকা-১৫ (মিরপুর-কাফরুল) আসনের ২০ দলীয় জোট মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কিন্তু এসব জাতীয় বীরদের নিয়ে মহল বিশেষ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করলেও তাদেরকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। রাজনৈতিক মত পার্থক্যের কারণেই তারা ক্ষেত্র বিশেষে অবহেলা ও নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। তাই এসব জাতীয় বীরদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৩০ ডিসেম্বর ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

373500_142

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) আয়োজিত ৪৮তম বিজয় দিবস ও আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনের নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ডা. হারুন অর রশীদের সভাপতিতে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহনগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। আরো উপস্থিত ছিলেন ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন, ডা. শিহাব উদ্দীন ও প্রফেসর হাফিজুর রহমান প্রমূখ।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনের বড় অর্জন। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণেই আমাদের স্বাধীনতা পুরোপুরি অর্থবহ হয়ে উঠেনি। মূলত চিকিৎসা পেশা একটি সম্মানজনক পেশা। কিন্তু দেশের সংঘাতপূর্ণ রাজনীতির কারণে তারাও গণমানুষের কল্যাণে যথাযথভাবে কাজ করতে পারছেন না। মূলত দেশে সুস্থ্যধারার রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত না থাকায় সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষই রাষ্ট্রের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার কোন বিকল্প নেই। সেই স্বপ্নের সমাজ বিনির্মাণে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে চিকিৎসক সহ সকল পেশা ও শ্রেণির মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ডা. শফিক।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পারেনি। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারও সম্প্রতি একথা শিকার করেছেন। সারাদেশে বিরোধী দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়ার ঘটনাও ক্রমেই বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলীয় প্রার্থীদের উপর উপর্যুপরি হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

ইতোমধ্যেই পুলিশ একজন প্রার্থীর উপর গুলীবর্ষণ ও একজনের পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের ১৪ জন প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি ঢাকা-১৫ আসনের সরকার দলীয় প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার আমি, আমার দল ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার ও বিষোদগার করে যাচ্ছেন। যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান।


Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.