ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ভোটে জিতলেন বিএনপির আব্দুস সাত্তার

256

জয়ী হলেন উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেছেন তিনি।

abdus sattar

বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্থগিত ৩ কেন্দ্রে পুনঃভোট গ্রহণ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষে মোট ১৩২টি কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে মঈনউদ্দিন পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট। ৮ হাজার ৫৭৮ ভোটের ব্যবধানে সাত্তার বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আব্দুস সাত্তার।

এনিয়ে ৫ বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। ১৯৭৯ সালে সরাইলের চুন্টা পাকশিমুল ও অরুয়াইল ইউনিয়নকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রথম এমপি হন সাত্তার। পরে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ও  জুনের নির্বাচনে বিএনপির টিকিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও সদরের একাংশ) আসনে এমপি নির্বাচিত হন।

২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট থেকে ফজলুল হক আমিনী এমপি হলেও টেকনোক্রেটে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে দল ক্ষমতা হারানোর পর আর খোঁজ মেলেনি সাত্তারের।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আগ পর্যন্ত বিগত ১০ বছর উকিল আব্দুস সাত্তারকে দেখা যায়নি। মাঠের বিরোধী দল হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীরা একে পর এক মামলা খেয়েছেন ও আন্দোলনে ছিলেন। নেতাকর্মীদের খোঁজ তো নেনই নি, সাত্তারেরও তখন খোঁজ মেলেনি। বিগত ১০ বছরে একটি রাজনৈতিক মামলাও হয়নি সাত্তারের নামে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর এই আসন থেকে বিএনপি থেকে নির্বাচন করতে আব্দুস সাত্তারসহ একডজন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন কেনেন। প্রাথমিক অবস্থায় বিএনপি থেকে ৯জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে চূড়ান্ত ভাবে বিএনপি মনোনীত ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী করা হয় উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ বারের মতো জয়লাভ করে সংসদ সদস্য হলেন সুভাগ্যবান উকিল আব্দুস সাত্তার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.