আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
হামলার ঘটনায় অবশ্যই মামলা করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখা হচ্ছে। যারা গাড়ি পুড়িয়েছে, পুলিশের ওপর হামলা করেছে তাদেরকে শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দলটির নেতাকর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে, করা হয় লাঠিচার্জও। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের দু’টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকের এই ঘটনা দেখে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে, তারা প্ল্যান করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে লাঠি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। গাড়ি পোড়ানোর যে আনন্দ-উৎসব তা আপনারা সবাই দেখেছেন। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশজুড়ে নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে এবং নির্বাচন বানচাল করতেই সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেমূলক এই হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ সদস্যদের অনেকেই মাথা, পা ও পেটে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। গুরুতর আঘাত না হলেও, এর চেয়ে বেশি কিছু হলে প্রাণহানীও ঘটতে পারত। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল প্রাণহানী ঘটিয়ে নির্বাচনকে বানচাল করা।
গত দুইদিন উৎসবমুখর পরিস্থিতিতে মনোনয়নপত্র কেনা-বেচা হচ্ছিল, আজ কেন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালো, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন বানচাল কিংবা অন্য কোনো অশুভ চিন্তা তাদের থাকতে পারে। সারাদেশে নির্বাচনী উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল, যারা নির্বাচন চায় তারা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে না। নিশ্চয়ই এটা ষড়যন্ত্রের অংশ।
হামলায় পুলিশের ২৩ সদস্য আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ৫ জন সিনিয়র পুলিশ অফিসার ও ২ জন আনসার সদস্য। এ সময় পুলিশের ২টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, আরেকটি এপিসি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।