ভুয়া এনকাউন্টারে ৪ জনকে হত্যার দায়ে পাকিস্তানে ৫ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

191

ভুয়া এনকাউন্টারে একই পরিবারের তিনজনসহ মোট চারজনকে হত্যার দায়ে পাঞ্জাবের পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। সন্ত্রাস ও হত্যার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে ওই পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, জানায় বার্তা সংস্থা পিটিআই।

Peshawar, Pakistan – April 07, 2016: Security staffs are inspecting venue after Blast at in Bado Summer Garden in Peshawar. According to sources a blast in Bado Summer Garden Peshawar has killed a policeman and wounded two other, Thursday.
Peshawar, Pakistan – April 07, 2016: Security staffs are inspecting venue after Blast at in Bado Summer Garden in Peshawar. According to sources a blast in Bado Summer Garden Peshawar has killed a policeman and wounded two other, Thursday.

গত সপ্তাহের শেষে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি মহাসড়কে গাড়ির ভিতর তিনজন পুলিশের গুলিতে নিহত হলেও বেঁচে যায় তিনটি শিশু।

এটি যে একটি ভুয়া এনকাউন্টার বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ছিল তা তদন্তে বেরিয়ে এলে পাঞ্জাব কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)-এর প্রধান কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। একইসঙ্গে, এনকাউন্টারের সময় উপস্থিত পাঁচ সিটিডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে পাঞ্জাবের আইনমন্ত্রী বাশারাত রাজা বলেন, যৌথ তদন্ত দলের দেয়া তথ্যের আলোকে সিটিডি পাঞ্জাবের চিফ এডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল রাই তাহিরসহ পাঁচ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে এনকাউন্টারে অংশ নেয়া পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

শনিবার লাহোর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে সাহিওয়ালের ভুয়া এনকাউন্টারে নিহত হয় এক দম্পতি, তাদের কিশোরী মেয়ে, ও এক বন্ধু। গাড়িতে থাকা তাদের ছেলে গুলিবিদ্ধ হলেও বেঁচে যায়। সেইসঙ্গে অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যায় আরও দু’টি শিশু।

পাকিস্তানের ডন পত্রিকা জানায়, এই ঘটনার পর সিটিডি প্রথমে বলেছিল গোয়েন্দা বিভাগের খবরের ভিত্তিতে ওই অভিযান চালানো হয়েছে।

কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঠাণ্ডা মাথায় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে পুলিশ। গাড়ি থেকে কোনও আগ্নেয়াস্ত্রও পাওয়া যায়নি।

সন্ত্রাস-দমন বিভাগ প্রথমে নিহতদের ‘আইএসের জঙ্গি’ বলে অভিহিত করেছিল। পরে তারা জানায়, নিহত দম্পতি ও তাদের মেয়ে নির্দোষ বেসামরিক লোক।

নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় এই ঘটনার প্রতিবাদে ওইদিন রাস্তায় নেমে আসে বলে জানায় ডন।

বাসারাত রাজা জানান, তদন্ত শেষে হলে আরও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, নিহত চতুর্থ ব্যক্তি জিশান জাভেদকে সন্ত্রাসী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তার যোগাযোগের বিশদ বিবরণ বুধবার প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.