ভেনেজুয়েলার নির্বাচন ‘বিতর্কিত’ বলে পালিয়েছেন বিচারপতি

148

ভেনেজুয়েলার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ক্রিশ্চিয়ান জেরপা দেশটির নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জেরপা একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার বিরোধিতা করেছেন। এ নিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ভেনেজুয়েলার নির্বাচন অবাধ ছিল না।

image-130679-1546861869বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত বছর নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন নিকোলাস মাদুরো। কিন্তু বিচারপতি ক্রিশ্চিয়ান জেরপা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রেডিও স্টেশনকে বলেন, ভেনেজুয়েলার সেই নির্বাচন অবাধ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল না।

ক্রিশ্চিয়ান জেরপা আরও অভিযোগ করেন, নিকোলাস মাদুরো পদ্ধতিগতভাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছেন।

এদিকে ওই বিচারপতির দেশ ছেড়ে পালানোর ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, যৌন হয়রানির অভিযোগে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন জেরপা। তাছাড়া ২০১৮ সালে দেশটির নির্বাচন বর্জন করেছিল বিরোধীদলগুলো। সেই নির্বাচনকে জালিয়াতি হিসেবে অভিহিত করে তারা।

২০১৬ সালে কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে আইনি বিষয়গুলো লেখার ক্ষেত্রে আদালতে মাদুরোর পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন জেরপা। জেরপা সেসময় প্রেসিডেন্টের হয়ে কংগ্রেসের ক্ষমতা খর্বের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

গত বছরের নির্বাচনে বিজয়ী মাদুরো বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন। ২০১৮-র মে মাসে অনুষ্ঠিত ওই ভোটের প্রতিবাদে ১৪টি দেশ কারাকাস থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে এনেছিল। যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর দিয়েছিল নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা।

প্রসঙ্গত, ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ওই নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। দেশটির বিরোধীরা এ নির্বাচনকে অবৈধ আখ্যায়িত করে বর্জন করেছেন।

অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে থাকা দেশটিতে মাত্র ৪৬ শতাংশ ভোটার নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে বিজয়ের ফলে আগামী ২০২৫ পর্যন্ত দেশটি শাসন করবেন তিনি।

ওই সময়ে নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হ্যানরি ফ্যালকন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা এ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দিইনি। আমাদের ক্ষেত্রে এখানে কোনো নির্বাচন হয়নি। ভেনিজুয়েলায় আমাদের নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

রাজধানী কারাকাসে মিরাফ্লোরস প্রাসাদের বাইরে কয়েক হাজার উৎসাহী সমর্থকের সামনে বক্তৃতা দেয়ার সময় মাদুরো তার নতুন ছয় বছরের মেয়াদকে ঐতিহাসিক রেকর্ড বলে আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, এর আগে প্রেসিডেন্ট পদে কেউ ৬৪ শতাংশ ভোট পায়নি। আমরা আবার জয়ী হয়েছি। আমরা ফের সফল হয়েছি। আমরা ইতিহাসের সেই শক্তি, যারা ক্রমাগত বিজয়ী হয়ে আসছি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.