ভোটের পথ বন্ধ হচ্ছে খালেদার!
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। মঙ্গলবার দুর্নীতির মামলায় প্রাপ্ত সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) স্থগিত চেয়ে বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানসহ পাঁচজনের করা আবেদন খারিজ করা বিষয়ে হাইকোর্টের এক পর্যবেক্ষণ উল্লেখ করে তিনি একথা জানান।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আমানউল্লাহ আমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মো. মশিউর রহমান ও মো. আব্দুল ওহাবের পক্ষে দণ্ড ও সাজা বাতিলের এ আবেদন করা হয়েছিল।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনের অংশ নিতে পারবেন না। তবে আপিল বিভাগে দণ্ড স্থগিত এবং জামিন হলেই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
এই আদেশের ফলে সংবিধান অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে সাংবাদিকদের জানান দুদকের আইনজীবী।
তিনি বলেন, ‘আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে তাকে জামিন দেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’
খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে পারবেন কি না এবং ক্ষমতায় যেতে পারবেন কি না, আদালত এসব বাতিল করেছেন। এ ছাড়া বলেছেন- দুর্নীতি এমন একটা ব্যাপার এটা আমাদের সকলের সজাগ থাকা উচিত। কাজেই এ ধরনের একটা অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন করা সেটা সংবিধানের পরিপন্থী।’