মওদুদ-হুদা-অলি-নোমান-ফারুকসহ ১৪৪০ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল স্বতন্ত্র মিলে ১ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে ১৪ শতাধিক প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।
জামানত হারানোদের মধ্যে রয়েছেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারমন্যান কর্নেল অলি আহমদও।
মাঠপর্যায় থেকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
সংসদ নির্বাচনের আইন অনুযায়ী, কোনো আসনের নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম ভোট পেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৪৪০ জনের মতো প্রার্থী তার আসনের প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোটও পাননি।
জানা যায়, জামানত হারানোদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী রয়েছে ২৯৮ জন। আর ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি ও তার শরীকদলগুলোর প্রার্থী রয়েছে ১৮৬ জন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
গাইবান্ধা-৩ আসনের একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় সে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ২৭ জানুয়ারি।
আর ব্রাহ্মবাড়িয়া-২ আসনের ৩টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় সেখানে ৯ জানুয়ারি পুনঃভোটের পর আসনটি ফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সচিব ফলাফল ঘোষণার সময় জানান, ২৯৮ আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসন, জাতীয় পার্টি ২২টি আসন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টি আসন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২টি আসন পেয়েছে, জাতীয় পার্টি-জেপি ১টি আসন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ১টি, বিএনপি ৫টি আসন, গণফোরাম ২টি এবং স্বতন্ত্র থেকে ৩ জন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
ইসি সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৭৩৩ জন আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২৮ জন অংশ নেন। এদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শরিকদের মিলিয়ে নৌকা মার্কায় ২৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি ও শরিকদের প্রার্থী ছিল ২৮২ জন। আর সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ছিল হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলনের। এই দলটি ২৯৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল।
মাঠ পর্যায় থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো নির্বাচনের ফলাফলের তালিকা থেকে জানা গেছে, মোট ১৮৬১জন প্রার্থীর মধ্যে ১৪৪০ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
বিএনপির ধানের প্রতীকের ২৮২ প্রার্থীর মধ্যে ৯৬ প্রার্থী জামানত হারাননি। অর্থাৎ ১৮৬ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, জয়নুল আবদিনন ফারুক, কর্নেল অলি আহমদেরও মতো নেতারাও আছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৯৮ জন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ১২০ জনের মতো জামানত হারিয়েছে। এদের মধ্যে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও রয়েছেন।