মধ্যবর্তী নির্বাচনে বর্ণবাদীদের চাপে বেসামাল ট্রাম্প

223

নিউজবিডিইউএস ডেস্কঃইচ্ছাকৃতভাবে বণর্বাদীদের উস্কানি দিয়ে প্রায়ই রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার পর বর্ণবাদীদের চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এখন এই অভিযোগগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেসকে জনপ্রিয়তার পরিচয় দিতে গুরুত্বপূর্ণ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেইসঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে উগ্র প্রচারাভিযানগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে এটি। এজন্য নির্বাচনটিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা।trump-324as
এছাড়া দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের হয়রানি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র নেটওয়ার্ক এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যাহার করবে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়।
এদিকে, নির্বাচনে ফ্লোরিডা এবং জর্জিয়াতে আফ্রিকান-আমেরিকান প্রার্থীদেরই যথারীতিভাবে বেশি লক্ষ্য করেন বর্ণবাদীরা।
মঙ্গলবার (০৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল থেকে শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে কেমন দেশ চালিয়েছেন, তার মূল্যায়ন করা হবে এ নির্বাচনে। সেইসঙ্গে দেশটির নাগরিকরা কংগ্রেসের উভয় কক্ষের সদস্যদেরও যাচাই করবেন নির্বাচনটিতে।
এ নির্বাচনে উচ্চ কক্ষ সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ৩৫টিতে। আর নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সব আসন ৪৩৫টিতেই ভোট হবে। এছাড়া ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৩৬টিসহ যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি অঞ্চলের গভর্নর হবেন এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।
যদিও এখন কংগ্রেসের দুই কক্ষেই রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারপরও বর্ণবাদীদের সঙ্গে নিয়ে বিরোধী দল ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থীরা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করবেন বলে জরিপ বলছে। তবে এগিয়ে যাওয়াটা তাদের জন্য অনেক কঠিন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, এবার নারী ভোটার বেশি। সেইসঙ্গে বেশি ভোট পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হিসেবে এটাতে ভোটার কম থাকে। তাছাড়া অনেকে প্রেসিডেন্ট নিয়ে ভাবেনই না এ নির্বাচনে।
এদিকে, একটি জরিপ বলছে, বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষে ৫৫ শতাংশ মত রয়েছে ভোটারদের। আর রিপাবলিকানরা ৪২ শতাংশ মত বহন করছে। এদিক থেকে ডেমোক্র্যাটিকরা বেশ এগিয়ে আছেন।
জরিপ বলছে, ডেমোক্র্যাটদের এগিয়ে থাকার কারণ এবারের বেশি সংখ্যক নারী ভোটার। নির্বাচনে নারী ভোটাররা তাদেরই এগিয়ে রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া কৃষ্ণাঙ্গ এবং লাথিন আমেরিকান ভোটাররাও ডেমোক্র্যাটদেরই পক্ষে। কেননা, ৮৮ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ এবং ৬৬ শতাংশ লাথিন আমেরিকান ভোটার তাদের ভোট দেবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
ভোটারের পাশাপাশি দেশটিতে মধ্যবর্তী নির্বাচনের ইতিহাসও ট্রাম্পের বা ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে। যদিও ইতোমধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসন জনপ্রিয়তা নিয়ে নিচে নেমে গেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পতো জনপ্রিয়তা কমে ৪০ শতাংশ দাঁড়িয়েছিলেন আগেই।
ইতিহাস বলছে, দেশটির মধ্যবর্তী নির্বাচনগুলোতে প্রেসিডেন্টের দল সাধারণত ভালো করতে পারে না। বেসরকারি সংস্থা দ্য অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্সি প্রজেক্ট বলছে, গত ২১টি মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রেসিডেন্টের দল হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে মাত্র তিনবার আসন বাড়াতে পেড়েছিল। আর সিনেটে মাত্র পাঁচ বার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.