মন্ত্রিসভায় ‘বড় চমক’ থাকার ইঙ্গিত

151

নতুন মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের চমক থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আমার কেন যেন মনে হয় বিশাল একটা চমক আসবে।’

shohag-kadar-pic_1

শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, ‘নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগের পথচলা। তবে বিশাল জয়ের সঙ্গে বিশাল চমকও থাকতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এই ক্যাবিনেটে আমি ঠিক বলতে পারছি না। তবে আমার মনে হয় বিপুল বিজয় তো বিপুল প্রত্যাশা। বিশাল বিজয়ের সঙ্গে বিশাল প্রত্যাশা। জনগণেরও এখানে একটা প্রত্যাশা রয়েছে। সেই প্রত্যাশার প্রতিধ্বনিতো করতে পারে একজনই (শেখ হাসিনা)।’

কাদের বলেন, ‘কেবিনেটের বিষয়টা সম্পূর্ণ তার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বিষয়। এটা প্রধানমন্ত্রীর এরিয়া, এখানে অন্যা কারো প্রবেশের সুযোগ নেই।’

হাসিনা ম্যাজিকেলীগের বিপুল বিজয়

‘হাসিনা ম্যাজিকে’ আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় এই নির্বাচনে বিজয়ের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে হাসিনা ম্যাজিক। এটা হলো বাস্তবতা। এটা আমাদের লিডারের প্রতি জনগণের– তার উন্নয়ন, তার রাজনীতি, তার স্বচ্ছতা, তার সততা, তার যোগ্যতা, দক্ষতার প্রতি জনগণের সমর্থন।’

ছাত্রলীগ সুনামের ধারায় থাকুক

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগ সুনামের ধারায় থাকুক, সেটিই চাই। ছাত্রলীগের যে ঐতিহ্য, ইতিহাস, সংগ্রাম গৌরবের সেই ইতিহাস ঐতিহ্যকে চেতনায় ধারণ করে ছাত্রলীগ আজকে সময়ের চাহিদা পূরণে দায়িত্ব পালন করবে।’

ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে সংগঠিত করবে উন্নয়নের চাকাকে সচল রাখার জন্য।’

‘সেখানে অভিজ্ঞতার সাথে তারুণ্যের শক্তিতে কাজে লাগাবে। ছাত্রলীগ তারুণ্যের প্রতীক, এনার্জির প্রতীক। তরুণ সমাজকে সংগঠিত করবে, আমাদের চলমান উন্নয়নের চাকাকে সচল রাখবে।’

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নীতি-আদর্শকে চলার পথে পাথেয় করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তার নীতি, আদর্শ, বিনয়, চরিত্রের যে গুণাবলি সেগুলো আমাদের পাথেয় হবে।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে কাদের বলেন, ‘তার মৃত্যুতে আমাদের যে ক্ষতি হলো তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শোকাহত, গোটা আওয়ামী লীগ পরিবারে শোকের ছায়া। সজ্জন এবং একজন ভালো মানুষ। পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্বমহলে তার একটা সুনাম ছিল। আমাদের দলের সীমানা পেরিয়ে।’

কাদের বলেন, ‘তিনি আরো অনেক দিন আমাদের দলকে সার্ভিস দিতে পারতেন।’

সৈয়দ আশরাফের অবদানের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বড় দুঃসময়ে লন্ডনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা তাদের সঙ্গে সেই দুঃসময়ের দিনগুলো কাটিয়েছেন। পর পর দুই বার পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দুঃসময়ে পার্টির হাল ধরেছিলেন, শক্ত হাতে দলকে সংগঠিত করেছেন। সীমাহীন গভীর কমিটমেন্ট নিয়ে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.