মাঠে এখনই সেনা চায় ঐক্যফ্রন্ট

119

সারা দেশে পুলিশি হয়রানি, গ্রেফতার ও নির্যাতনরোধে এখনই মাঠে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে জোটের একটি প্রতিনিধিদল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এসে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি জানায়।

jatiya_oikyafront

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানের নেতৃত্ব প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

প্রায় ২৫ মিনিট বসিয়ে রেখেও নির্বাচন কমিশনাররা সাক্ষাৎ না করায় এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এসেছি। দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখেও তারা সাক্ষাৎ দেননি। নির্বাচন কমিশন আগে বলেছিল ১৫ ডিসেম্বর সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে। এরপর বলল ২৪ ডিসেম্বর। আজ বলছে, সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি। যেহেতু পুলিশ সারা দেশে আমাদের প্রার্থী, নেতা-কর্মীদের ধরছে, পেটাচ্ছে, আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এজন্য এই মুহূর্ত থেকে সেনাবাহিনী নামানোর দাবি জানাচ্ছি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সময় যত গড়াচ্ছে, নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। এজন্য আমাদের প্রার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।’

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীসহ সকল বাহিনীকে মাঠে নামানো হবে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর ছোট টিম ১৫ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী এলাকায় রেকি করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বৈঠক শেষে কর্মকর্তারা জানান, সভায় সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব আসায় এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। আগের সিদ্ধান্তই রয়েছে।

তফসিল অনুসারে, সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও গ্রাম পুলিশ মিলিয়ে ৬ লক্ষাধিক ফোর্স মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.