নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্ত্তজার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই ভোট চান। একইসঙ্গে নড়াইল-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিএম কবিরুল হক মুক্তির জন্যও নৌকা প্রতীকে ভোট চান শেখ হাসিনা।
মাশরাফির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘মাশরাফি একটা হিরের টুকরো। এই হিরের টুকরোকেই আমি আপনাদের (নড়াইলবাসী) উপহার দিলাম। আপনারা নড়াইল-২ আসনে মাশরাফি এবং নড়াইল-১ আসনে নৌকার প্রার্থী কবিরুল হক মুক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমি নড়াইলের দুটি আসনের এমপি ছিলাম। নড়াইলের দুটি আসন আমার। নড়াইলও আমার জেলা। গোপালগঞ্জের উন্নয়ন যা আছে, সব আপনাদের (নড়াইলবাসী) দিয়ে দিলাম।’
নড়াইল জেলার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা এবার আওয়ামী লীগের ব্যাচ পরে কেন্দ্রে গিয়ে যে কোনো ঘটনা ঘটাতে পারে। সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ক্রিকেট তারকা মাশরাফিও যোগ দেন।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ইনজুরির কারণে নির্বাচনী এলাকায় আসতে একটু দেরি হচ্ছে। আশা করি, খুব শিগগিরই এলাকায় এসে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করব।’
মাশরাফি নৌকা প্রতীকে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং প্রচারকাজ অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করেন।
নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম ফজলুর রহমান জিন্নাহ, অ্যাডভোকেট সৈয়দ আইয়ুব আলী, সিকদার আজাদ রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নড়াইল পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. গোলাম নবী, নড়াইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অচীন চক্রবর্তী, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু, লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম, নারী নেত্রী আঞ্জুমান আরা, জেলা পরিষদের সদস্য সাজ্জাদুর রহমান মুন্না, জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান প্রমুখ।
এর আগে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম মুন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিদ্দিক আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাধন প্রমুখ।