মিসাইল না নিলে তুরস্ককে এফ-৩৫ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
এবার নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাটিট্রিয়ট মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। ফলে যুমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ নিয়ে আগের মতো তুরস্ককে চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র জানায়, রাশিয়ার সঙ্গে আঙ্কারার এস-৪০০ চুক্তিটি বাতিল না করা হলে এফ-৩৫ অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান সরবরাহ করবে না। যুক্তরাষ্ট্র জানায়, এফ ৩৫ বিমান তারা দেরিতে সরবরাহ করবে।
তুরস্ক ১৯৯৯ সালে ১০০টি এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান কেনার জন্য আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করেছে। এর মধ্যে গত বছরের ২২ জুলাই প্রথম চালান হিসেবে একটি বিমান হস্তান্তর করে আমেরিকা।
ন্যাটোভুক্ত দেশ তুরস্ক আমেরিকা নেতৃত্বাধীন কয়েকটি দেশের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরি ও কেনার প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে। অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে এবং ডেনমার্ক।
এর আগে গত বছরে তুরস্কে আটক আমেরিকান ধর্ম যাজককে নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এতে তুরস্কের দুই মন্ত্রীর ওপর অবরোধ দেয়া ছাড়াও দেশটি থেকে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটনায় এখন এফ-৩৫ বিমান পাওয়া নিয়ে তুরস্কের সংশয় তৈরি হয়েছে।
তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানও আমেরিকার বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি আমেরিকান ইলেকট্রনিকস পণ্য ও অ্যাপলের তৈরি আইফোন বর্জনের জন্য তুর্কি নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এমন পরিস্থিতে বিমান কেনার ওই চুক্তির মাঝপথে প্রতিরক্ষা বাজেট আইনের এই সংশোধন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির লঙ্ঘন বলে মনে করছে তুরস্ক।