যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৭-১১স্টোরে ব্যাপক ধরপাকড় : হানা দেয়া হবে বাসা-বাড়িসহ সব কর্মক্ষেত্রে -আইস
অভিযানের জন্য বিশেষভাবে বেছে নেয়া হয়েছে ছোট কিন্তু লাভজনক ব্যবসার রোল মডেল হিসেবে পরিচিত সেভেন ইলেভেন ফ্রান্চাইজি স্টোরগুলোকে। কারণ ইমিগ্রেশন জানে সেভেন ইলেভেন স্টোরগুলোতে ভারত উপমহাদেশসহ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশ থেকে আগত অবৈধ অভিবাসীরা কাজ করে। একেকটি স্টোরে দল বেঁধেই হানা দিচ্ছে ইমিগ্রেশন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আইস-এর এজেন্টরা। সেভেন ইলেভেন স্টোরগুলো প্রতিদিন তিন শিফট করে দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা সপ্তাহের সাত দিনই খোলা থাকে। তাই ইমিগ্রেশন এজেন্টরা হানা দিচ্ছে দিনের বিভিন্ন সময়ে। মালিক অথবা অনডিউটি ম্যানেজারের কাছে এবং কর্মরত এমপ্লয়ীদের কাছে সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ডসহ আমেরিকা কাজ করার অনুমতিযুক্ত কাগজপত্র (ওয়ার্ক অথরাইজেশন) দেখতে চাচ্ছে। না পেলে অবৈধ কর্মীদের এবং তাদেরকে বেআইনীভাবে কাজ দেবার জন্য মালিক বা ম্যানেজারদেরকে গ্রেপ্তার করে ডিটেনশান সেন্টারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। মালিকদের করা হচ্ছে কমবেশি অর্ধ লক্ষ ডলার জরিমানা।
আইস-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক থমাস বলেছেন, অভিযানযজ্ঞের সবে শুরু। বাসা-বাড়িতে হানা দেয়াও জোরালোভাবে শুরু হবে। সংগে হানা দেয়া হবে অন্য সব কর্মক্ষেত্রেও ।
সেভেন ইলেভেন-এর ডালাস শহরের কর্পোরেট অফিস থেকে এসব অভিযান ও গ্রেপ্তারের দায় নিতে অস্বীকৃত জানানো হয়েছে। ওখান থেকে এক মুখপাত্র বলেছেন সেভেন ইলেভেনের স্টোরগুলো ইনডিভিজুয়াল ফ্রান্চাইজি ওনারদের মানিকানধীন। কাজেই স্টোরে কাকে কাজে নেয়াহল, নেবার সময় কাগজপত্রের বৈধতা দেখা হল কিনা নাকি জেনেশুনে অবৈধদের নিয়োগ করা হল তার দায় দায়িত্ব বর্তাবে স্টোরগুলোর মালিক বা ম্যানেজারদের ওপর। এজন্য কাগজপত্রহীনদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।
এ কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ কাগজপত্রহীন ইমিগ্র্যান্টদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইমিগ্রেশন এডভোকেসি গ্রুপগুলো।
Prev Post
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.