ঢাকা অফিস:নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে প্রকাশ্য রাস্তায় পিটিয়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু সমর্থকরা মানবদেয়াল তৈরি করে লাঠি ও ইটপাটকেলের আঘাত সহ্য করে মেয়রকে প্রাণে রক্ষা করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে এই ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ শহরে হকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও এমপি শামীম ওসমান সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল, গুলি বর্ষণ এবং দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের চাষাঢ়া এলাকা। শামীম ওসমান সমর্থকদের হামলায় মেয়র আইভী আহত হয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। এ সময় তার সমর্থকরা মানবঢাল তৈরি করে চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে রাখে। বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ও গুলিবর্ষণ হলেও আইভী রাস্তা ছেড়ে যাননি। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের শতাধিক আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষ চলাকালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিতি থাকলেও সংঘর্ষ থামাতে তারা ব্যর্থ হন। সংঘর্ষের সময় শহরের দোকান পাট, বিপণি বিতান বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে। বন্ধ হয়ে যায় সকল যানবাহন চলাচল। মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব শহরে জলকামানসহ টহল দেয় ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। দীর্ঘদিন থেকে এই দুই নেতা মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন বক্তব্য বিবৃতির মাধ্যমে। গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের বিরোধ মাঠে গড়িয়েছে। পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। চরম উত্তেজনা রয়েছে উভয় শিবিরে।
এদিকে হামলার জন্য নাসিক মেয়র এমপি শামীম ওসমানকে সরাসির দায়ী করে বলেন, তাকে হত্যার উদ্দেশেই শামীম ওসমানের নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী হামলা চালিয়েছে। তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন। প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে ডিসি ও এসপির প্রত্যাহার দাবি করেছেন তিনি।
অপরদিকে শামীম ওসমান বলেন, আমি দেখেছি বিএনপির মার্ডার কেসের আসামি ও আসামির ভাইয়েরা সব আজকে নারায়ণগঞ্জে মেয়রের মিছিলে সমাবেশ করে নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।
ওদিকে নাসিক মেয়র আইভীর প্রেস বিফ্রিং শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর হকাররা শহরে মিছিল বের করে আইভীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে তারা প্রেস ক্লাবের নিচে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টার পর শহরের চাষাড়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয় শামীম ওসমানের সমর্থক নিয়াজুল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলালের নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী।
এদিকে সোমবার শামীম ওসমানের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় নগর ভবনে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আইভী প্রেস ব্রিফিং করবেন এই খবরে বিপুল সংখ্যক মিডিয়াকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কয়েক হাজার আইভীর সমর্থক নগরভবনের সামনে জড়ো হয়। পরে আইভী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত হয়ে প্রেস বিফ্রিং করার কথা জানান। পরে বিকাল ৪টায় নগরভবন থেকে বেরিয়ে আইভী তার সমর্থকদের নিয়ে পায়ে হেঁটে রওনা হন। ফুটপাথ ধরে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শহরের চাষাড়া সায়েম প্লাজার সামনে উপস্থিত হন আইভী। এ সময় আকস্মিকভাবে শহীদ মিনার থেকে শামীম ওসমানের সমর্থকরা হামলা চালায় আইভীর ওপর।শামীম ওসমানের সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দেন শহরের উচ্ছেদকৃত বিপুল সংখ্যক হকার। একপর্যায়ে নিয়াজুল অস্ত্র উঁচিয়ে আইভীর দিকে তেড়ে যান। তখন আইভীর সমর্থকরা নিয়াজুলকে গণপিটুনি দিলে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এ সময় ইটের আঘাতে আহত হয়ে সড়কের ওপর বসে পড়েন আইভী। একপর্যায়ে আইভীর সমর্থকরা চারপাশ থেকে মানবঢাল তৈরি করে আইভীকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখেন। বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ও গুলি বর্ষণ হলেও আইভী তার জায়গা থেকে নড়তে রাজি হননি। স্টিল দাঁড়িয়ে থাকেন মানবঢালের ভেতর।
এক সময় শামীম সমর্থকরা যখন মানবঢালের একেবারে সামনে এসে হামলা করে তখন পুলিশ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে শামীম সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এদিকে আইভীকে রক্ষা করতে গিয়ে এবং হামলায় আইভীর বডিগার্ড কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি শরীফুদ্দিন সবুজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদুল্লাহ, শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল, নাসিক কাউন্সিলর শাওন অংকন, যুবলীগ নেতা হিমেল খান, সুজন, জুবায়েদ, মো. রব মিয়া, আব্দুল কাউয়ুম, কবির টিটু, আহসান হাবু, মন্টি, মো. ইমন, জুম্মন খন্দকার, মো. রাসেল মিয়া, সাংবাদিক ওয়ারদী রহমান, রিপন মাহমুদ, ফটো সাংবাদিক তাপস সাহা, সবুজসহ কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক আহত হন। তাদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা মারাত্মক।
অপরদিকে শামীম ওসমন সমর্থকদের মধ্যে নিয়াজুল ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জুয়েল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের পর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে থাকে। এবং ধীরে ধীরে শহরে যানবাহন চলাচল শুরু করে। কিন্তু আতঙ্কে শহরের সকল মার্কেট বন্ধ থাকে। এদিকে সার্ভিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরে জলকামান সহ পুলিশ ও র্যাব টহল শুরু করেছে। এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিতি থাকলেও সংঘর্ষ থামাতে তারা ব্যর্থ হন। সংঘর্ষের সময় শহরের দোকান পাট, বিপণি বিতান বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে। বন্ধ হয়ে যায় সকল যানবাহন চলাচল। মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব শহরে জলকামানসহ টহল দেয় ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। দীর্ঘদিন থেকে এই দুই নেতা মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন বক্তব্য বিবৃতির মাধ্যমে। গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের বিরোধ মাঠে গড়িয়েছে। পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। চরম উত্তেজনা রয়েছে উভয় শিবিরে।
এদিকে হামলার জন্য নাসিক মেয়র এমপি শামীম ওসমানকে সরাসির দায়ী করে বলেন, তাকে হত্যার উদ্দেশেই শামীম ওসমানের নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী হামলা চালিয়েছে। তিনি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন। প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে ডিসি ও এসপির প্রত্যাহার দাবি করেছেন তিনি।
অপরদিকে শামীম ওসমান বলেন, আমি দেখেছি বিএনপির মার্ডার কেসের আসামি ও আসামির ভাইয়েরা সব আজকে নারায়ণগঞ্জে মেয়রের মিছিলে সমাবেশ করে নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।
ওদিকে নাসিক মেয়র আইভীর প্রেস বিফ্রিং শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর হকাররা শহরে মিছিল বের করে আইভীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে তারা প্রেস ক্লাবের নিচে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টার পর শহরের চাষাড়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয় শামীম ওসমানের সমর্থক নিয়াজুল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলালের নেতৃত্বে অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী।
এদিকে সোমবার শামীম ওসমানের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় নগর ভবনে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আইভী প্রেস ব্রিফিং করবেন এই খবরে বিপুল সংখ্যক মিডিয়াকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কয়েক হাজার আইভীর সমর্থক নগরভবনের সামনে জড়ো হয়। পরে আইভী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত হয়ে প্রেস বিফ্রিং করার কথা জানান। পরে বিকাল ৪টায় নগরভবন থেকে বেরিয়ে আইভী তার সমর্থকদের নিয়ে পায়ে হেঁটে রওনা হন। ফুটপাথ ধরে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শহরের চাষাড়া সায়েম প্লাজার সামনে উপস্থিত হন আইভী। এ সময় আকস্মিকভাবে শহীদ মিনার থেকে শামীম ওসমানের সমর্থকরা হামলা চালায় আইভীর ওপর।শামীম ওসমানের সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দেন শহরের উচ্ছেদকৃত বিপুল সংখ্যক হকার। একপর্যায়ে নিয়াজুল অস্ত্র উঁচিয়ে আইভীর দিকে তেড়ে যান। তখন আইভীর সমর্থকরা নিয়াজুলকে গণপিটুনি দিলে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এ সময় ইটের আঘাতে আহত হয়ে সড়কের ওপর বসে পড়েন আইভী। একপর্যায়ে আইভীর সমর্থকরা চারপাশ থেকে মানবঢাল তৈরি করে আইভীকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখেন। বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ও গুলি বর্ষণ হলেও আইভী তার জায়গা থেকে নড়তে রাজি হননি। স্টিল দাঁড়িয়ে থাকেন মানবঢালের ভেতর।
এক সময় শামীম সমর্থকরা যখন মানবঢালের একেবারে সামনে এসে হামলা করে তখন পুলিশ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে শামীম সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এদিকে আইভীকে রক্ষা করতে গিয়ে এবং হামলায় আইভীর বডিগার্ড কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি শরীফুদ্দিন সবুজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদুল্লাহ, শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল, নাসিক কাউন্সিলর শাওন অংকন, যুবলীগ নেতা হিমেল খান, সুজন, জুবায়েদ, মো. রব মিয়া, আব্দুল কাউয়ুম, কবির টিটু, আহসান হাবু, মন্টি, মো. ইমন, জুম্মন খন্দকার, মো. রাসেল মিয়া, সাংবাদিক ওয়ারদী রহমান, রিপন মাহমুদ, ফটো সাংবাদিক তাপস সাহা, সবুজসহ কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক আহত হন। তাদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা মারাত্মক।
অপরদিকে শামীম ওসমন সমর্থকদের মধ্যে নিয়াজুল ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জুয়েল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের পর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে থাকে। এবং ধীরে ধীরে শহরে যানবাহন চলাচল শুরু করে। কিন্তু আতঙ্কে শহরের সকল মার্কেট বন্ধ থাকে। এদিকে সার্ভিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরে জলকামান সহ পুলিশ ও র্যাব টহল শুরু করেছে। এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।