সদ্যপ্রয়াত বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দাফন বিষয়ে দুটি দাবি জানিয়েছেন তার পরিবার।
বুলবুলের ছেলে আসিফ ইমতিয়াজ মুন দাবি করেন – মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের জন্য যেন একটি স্থায়ী সমাধির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
অন্যদিকে আগামীকাল সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বুলবুলের প্রিয় ‘সবকটা জানালা খুলে দাও না’ গানটি যেন মৃদুস্বরে বাজানো হয়, এমন দাবি জানিয়েছেন বুলবুলের বোন রোকসানা।
মঙ্গলবার রাতে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এই সুরস্রষ্টার আফতাবনগরের বাসায় গেলে তারা এ দুটি দাবির কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এসময় প্রতিমন্ত্রী পরিবারের দাবি দুটি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন বলে জানা গেছে।
এর আগে বুলবুলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বুলবুলের লাশ। বুধবার বেলা ১১টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ রাখা হবে।
সেখানে বরেণ্য এ শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে এবং সর্বস্তরের জনগণ শ্রদ্ধা জানাবেন। পর্বটি পরিচালনা করবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নেয়া হবে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের লাশ। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে তার প্রথম জানাজা। বরেণ্য এ শিল্পীর মরদেহ শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলী বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আফতাবনগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।