রংতুলির আয়োজনে ভার্জিনিয়ায় শ্রীকান্ত আচার্যে্যর একক সংগীত সন্ধ্যা: সুরের যাদুতে মুগ্ধ হাজার দর্শক
জাহিদ রহমানঃ ভার্জিনিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ভারতীয় শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য্যের একক সঙ্গীত সন্ধ্যা। ৯ অক্টোবর রোববার ভার্জিনিয়ার ষ্প্রীংফিল্ড এর লী হাই স্কুল অডিটরিয়ামে সংগীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। জমজমাট এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বৃহত্তর ওয়াশিংটনের সাংস্কৃতিক সংগঠন রংতুলি। রংতুলির এটি ৬ষ্ঠ আয়োজন।
অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রধান পরিচালক শান্তনু বড়ুয়া এবং সহযোগি পরিচালক তমাল, ধীমান, দেবু, রুমপা, সোমা এবং পল্লবীসহ রংতুলি টিম পরিবার। আর উপস্থাপনায় ছিলেন শতরুপা বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে স্পন্সর করেছেন- রোখসানা পারভিন, মো: গোলাম মোস্তফা, কবির পাটোয়ারী, পারভীন পাটোয়ারী, অসিম বড়ুয়া, সুমিত্রা বড়ুয়া, এআর স্বপন, সাবরিনা রহমান, মজহারুল হক।
দর্শকদের মূহুর্মূহু করতালির মধ্য দিয়ে শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য্য প্রায় তিন ঘন্টা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার- অন-লাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ বিডি ইউএস ডট কম, ওয়াসিংটন বাংলা এবং নিউজ বাংলা।
অনুষ্ঠান শুরুতে শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য্য তার গান এবং সঙ্গীত জীবন সম্পর্কে বলেন, তিনি কখনও পরিকল্পনা করে কিছু করেননি। ১৯৯৬ সালের কথা। তখনও তিনি ভাবেননি যে গানবাজনাই পেশা হবে। ভেবেছিলেন ব্যবসা করবেন। পুঁজি ছিল না এক পয়সাও। তবুও সাহস করে বন্ধুদের সঙ্গে পরিকল্পনা করেন গার্মেন্টস ব্যবসার।
বাংলাদেশী শ্রোতাদের সম্পর্কে শ্রীকান্ত আচার্য্য বলেন, তিনি যদিও কলকাতার মানুষ। কিন্তু বাংলাদেশী দর্শক শ্রোতারাই যেন তার গান বেশ উপলব্ধি করতে পারে। বুঝতে পারে। এজন্য বাংলাদেশ আর বাংলাদেশী শ্রোতাদের প্রতি তার একটি বড় টান রয়েছে। ওরা যেন সত্যিকারের শ্রীকান্ত আচার্য্যকে বুঝতে পারে। তাই বারবার তিনি বাংলাদেশে যান। বাংলাদেশী দর্শকদের কাছে ছুটে আসেন, বললেন তিনি।
শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য্যের বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ব্যাপক ভাবে পরিচিত। তার ভাষায় বাংলাদেশী দর্শক শ্রোতারাই যেন তার গান বেশি ভালবাসেন। তাই ডাক পেলে ছুটে আসেন, জানালেন শ্রীকান্ত।
অনুষ্ঠানে শ্রীকান্ত আচার্য্য- একটু আমার সঙ্গে দেখা করতে চাই, শ্রাবণের মেঘ ঝুলে আছে বিষন্ন বিকেল বেলা, আমরা নূতন প্রাণের চর হা হা, হায় হেমন্তলক্ষ্মী, তোমার নয়ন কেন ঢাকা, পথে চলে যেতে যেতে কোথা কোন্খানে, অনেক কথা বলেছিলেম কবে তোমার কানে কানে, এই লভিনু সঙ্গ তব সুন্দর হে সুন্দর, যে ছিল আমার স্বপনচারিণী, এত সুর আর এত গান,জানলা খোলা, এমন দিনে তারে বলা যায়, বাধা দিলে বাঁধবে লড়াই, মরতে হবে, কেন দূরে থাক ইত্যাদি গান মুর্হমুর্হ করতালীর মধ্যে দিয়ে পরিবেশন করেন। পুরাতন বাংলা গান, রবীন্দ্র সঙ্গীত, আধুনিক বাংলা সবখানেই তিনি তার গানের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
ফটোগ্রাফিতে ছিলেন- রাজিব বড়ুয়া, এন্থনি পিউস গোমেজ এবং বিপ্লব দত্ত।