রক্তমাখা ব্যান্ডেজ নিয়েই ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে গয়েশ্বর
ঢাকা ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার পর রক্তমাখা পাঞ্জাবি পরেই বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে অংশ নেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রক্তমাখা পাঞ্জাবি গায়ে জড়িয়েই গুলশান কার্যালয়ে আসেন তিনি।
কার্যালয়ে পৌঁছালে দেখা যায়, তার মাথার কয়েকটি স্থানে ব্যান্ডেজ রয়েছে। এ সময় গয়েশ্বরকে অনেকটা নিস্তব্ধ দেখা যায়। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির এই নেতা।
এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন কমিশনের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে ইসি ১৯৭১ সালের আল বদর, আল শামস বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ক্ষমতাসীনদের বিজয়ী করতে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জনগণ যেভাবে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করেছে ঠিক একইভাবে আগামী ৩০ তারিখের নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের পরাজিত করবে। আমরা বলতে চাই রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব।
এর আগে বিকালে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার চৌরাস্তায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় ২০ থেকে ২৫ জন আহত হন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হামলার বিষয়ে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানের শীষের প্রচারণায় ঢাকা-৩ আসনের চুনকুটিয়া চৌরাস্তা এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বের হন ওই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রিজভী বলেন, প্রচারণাকালে তার ওপর লাঠি-শোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্রসহ তার বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। পরে আহতাবস্থায় তাকে রাজধানীর বিজয়নগরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ যুবদলের সভাপতি মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ জানান, নির্বাচনী গণসংযোগের সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নির্বাচনী গণসংযোগে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ২০-২৫ জন বিএনপি কর্মী আহত হন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।