রাজধানীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধানের দাবি স্বজনদের

452

রাজধানীর ফার্মগেট থেকে নিখোঁজ হওয়া ৪ শিক্ষার্থীর সন্ধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তাদের পরিবার। মঙ্গলবার সকালে ক্রাইম রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা সন্তানদের সন্ধান দাবি করেন।

Pritom Press 2

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিভাবকরা জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর (শনিবার) শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট থেকে শপিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে ফার্মগেটে বাস থামিয়ে সাদা পোশাকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন— এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আবু খালেদ মোহাম্মদ জাবেদ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের বোরহান উদ্দিন, মানারাত ইউনিভার্সিটির শেষ বর্ষের রেজাউল খালেক ও ঢাকা ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের সাবেক ছাত্র ডা. সৈয়দ মমিনুল হাসান।

অভিভাবকরা দাবি করেন, বাসে থাকা তাদের সন্তানদের অপর এক বন্ধুর মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি তারা জানতে পারেন। তারপর তেজগাঁও থানা এবং পার্শ্ববর্তী সব থানাসহ আইনশৃঙ্খলা নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সবাই গ্রেফতারের বিষয়ে অস্বীকার করে। গ্রেফতারের পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও আইন অনুযায়ী তাদের আদালতে হাজির করেনি, যা উদ্বেগের বিষয়। তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে শঙ্কিত।

অভিভাবকরা বলেন, আমরা বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, আমাদের সন্তানরা পুলিশের হেফাজতেই আছে। নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রদের গ্রেফতার করে অস্বীকার করা এবং এতো দিন পেরিয়ে গেলও আদালতে না আনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এটা কোনোভাবেই দায়িত্বশীল পুলিশের কাজ হতে পারে না। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা তাদের জীবন নিয়ে শঙ্কা বোধ করছি। আমাদের জানা মতে, তারা কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। এরপরও যদি কোনও অপরাধ করে থাকে তাহলে এজন্য দেশের আইন মেনে বিচার হওয়ার কথা কিন্তু পুলিশ তা করছে না। আমরা এখন নিরুপায় হয়ে আমাদের নিখোঁজ সন্তানদের সন্ধান ও মুক্তির জন্য এই সংবাদ সম্মেলন করেছি।

আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা দাবি করছি। আপনাদের মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে আমাদের সন্তানদের মুক্তির ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.